সরবরাহ সংকটের অজুহাতে নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি সবজির দাম ৫–১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এছাড়া বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দামও। তবে স্থিতিশীল আছে মাছ–মাংসের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চলে অনেক সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া পরিবহনও খরচ বেড়েছে। তাই দাম বাড়তি। অপরদিকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে সবজি আসা কমে গেছে।
গতকাল নগরীর কয়েকটি সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমান প্রতি কেজি কাঁকরল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা এবং মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০–৭০ টাকায়। কাজীর দেউরি বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আজম বলেন, সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। মাছের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়। এছাড়া কাতলা মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, ইলিশ মাছ আকারভেদে ৮৫০ থেকে দেড় হাজার টাকা, চিংড়ি ৯০০ থেকে দেড় হাজার টাকা, কাঁচকি ৪০০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, লইট্টা ১৮০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রেতা ইমরান হোসেন বলেন, মাছের দাম বাড়েনি। গত এক সপ্তাহ ধরে মাছের সরবরাহও স্বাভাবিক আছে।
অপরদিকে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বর্তমানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্র হচ্ছে ১৬০ টাকায়। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৩০–২৪০ টাকায়। অন্যদিকে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকায়।
মুরগি বিক্রেতা হোসেন আহমদ বলেন, মুরগির চাহিদা বাড়ার কারণে দাম বাড়ছে। কোরবানির এক সপ্তাহ আগে ও পরে দাম কম থাকে। পরে ধীরে ধীরে মুরগির চাহিদা বাড়ে। ফলে দামও বেড়েছে।