বেগম রোকেয়া পদক ২০২৫

| শনিবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৯:২১ পূর্বাহ্ণ

নারীশিক্ষা, নারী অধিকার, মানবাধিকার ও নারী জাগরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে চার বিশিষ্ট নারীকে বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া হয়েছে।

এবছর পদক পেয়েছেন নারী শিক্ষা শ্রেণিতে(গবেষণা) রুভানা রাকিব, নারী অধিকার শ্রেণিতে (শ্রম অধিকার) কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার শ্রেণিতে নাবিলা ইদ্রিস ও নারী জাগরণ শ্রেণিতে (ক্রীড়া) ঋতুপর্ণা চাকমা। নারী শিক্ষা ও অধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৫ তম জন্মবার্ষিকী ও ৯৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে প্রত্যেক বছরের ৯ ডিসেম্বর নানা আয়োজনের মাধ্যমে পালন করা হয় রোকেয়া দিবস।

উত্তরাধিকারে নারী পুরুষের সমান

অধিকারের সুপারিশ

বাংলাদেশে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পথে অন্যতম বড় বাধা হলো অসম উত্তরাধিকার ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ও ধর্মীয় ব্যাখ্যার কারণে নারীরা সম্পত্তিতে সমান অধিকার পান না, ফলে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়েবিশেষ করে বিবাহবিচ্ছেদ, স্বামীর মৃত্যু বা বার্ধক্যে তারা আর্থিক অনিশ্চয়তায় পড়ে।

২০২৫ সালে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নারীদের উত্তরাধিকারে সমান অধিকার দেওয়ার সুপারিশ করেছে, যা দেশে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই সুপারিশ অনুযায়ী নারীও পুরুষের মতো পিতামাতার সম্পত্তিতে সমান ভাগ পাবে এবং নারীর আর্থিক নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় হবে। এ উদ্যোগ নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পরিবার ও সমাজে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাও বাড়াবে বলে মনে করেন নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন।

এছাড়া নারী অধিকার সংগঠনগুলো যুক্তি উত্থাপন করেছেন, সমান নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হলে সমান উত্তরাধিকার অপরিহার্য। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সামাজিক ন্যায়ের জন্য নারীপুরুষের সমান সম্পত্তির অধিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সমতা শুধু আইনে নয়, সমাজের বাস্তবতায়ও প্রতিষ্ঠিত হওয়া জরুরি। ফলে এ সুপারিশকে দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন।

শারীরিকমানসিক চাপ কমাতে প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করুণ শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম

নারীদের দৈনন্দিন কাজের চাপ তুলনামূলক বেশি। ঘর সামলিয়ে ক্যারিয়ার, ক্যারিয়ার করে ঘর সামলাতে হিমশিম খান বেশিরভাগ নারী। এছাড়া শারীরিক জটিলতা ও মানসিক অশান্তি তো থাকে। বিশেষ করে কর্মজীবী মায়েদের চাপ আরো বেশি। আর হরমোনাল সমস্যা থাকলে তো কথাই নেই। ফলে খুব কম সময়ে নিজেকে স্বস্তি দিতে চাইলে করতে পারেন শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম। অন্তত প্রতিদিন পাঁচ মিনিট।

শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম স্নায়ুতন্ত্রের প্যারাসিমপ্যাথেটিক সিস্টেমকে সক্রিয় করে কর্টিসল কমায় ফলে টেনশন, উদ্বেগ, বিরক্তি কিংবা রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়া অক্সিজেন লেভেল ঠিক থাকতেও শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম খুবই জরুরি।

যেভাবে করবেন

ডায়াফ্রাম্যাটিক শ্বাস

কীভাবে করবেন:

/আরামদায়কভাবে চেয়ার বা মেঝেতে বসুন/শুয়ে পড়ুন।

/এক হাত পেটে, এক হাত বুকের উপরে রাখুন।

/ নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন।

/ মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন।

এভাবে ৪৫ বার করুন।

সুফলমানসিক চাপ কমে, রক্তে অক্সিজেন বাড়ে।

৮ সেকেন্ডে প্রশান্তি

কীভাবে করবেন:

/নাক দিয়ে ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন।

/শ্বাস ধরে রাখুন ৭ সেকেন্ড।

/মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে ৮ সেকেন্ডে ছাড়ুন।

এভাবে ৩৫ বার করুন নিয়মিত।

সুফল

হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণে আসে, চাপ কমে এবং ঘুম ভালো হয়।

গ্রন্থনা: শ্বেত জবা

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘বীরাঙ্গনা’ শব্দকে কেন কেউ অনুচ্চার্য রাখতে চায়?
পরবর্তী নিবন্ধআইবিডব্লিউএফের দক্ষিণ জেলার সভা