আজ ১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন। এই উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয় অথবা মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। চেয়ারপার্সনের জন্মবার্ষিকী সামনে রেখে গত বুধবার দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে শুক্রবার (আজ) বেলা ১১টায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মিলাদ ও দোয়া মাহফিলগুলোতে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন রিজভী।
১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তাঁর জন্ম। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে খালেদা জিয়া চতুর্থ। বাবা এস্কান্দর মজুমদার, মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। পৈত্রিক নিবাস ফেনীর ফুলগাজী হলেও তার শৈশব–কৈশোর কেটেছে দিনাজপুরে বাবার কর্মস্থলে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর রাজনীতির অঙ্গনে পা রাখেন গৃহবধূ খালেদা। প্রথমে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১৯৮৪ সালে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ এবং ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ মেয়াদে তিন দফা বিএনপি সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন খালেদা জিয়া।
বিএনপি ১৫ আগস্টে খালেদা জিয়ার জন্মবার্ষিকী পালন করে থাকে। দলের নেতাকর্মীরা এক সময় এদিন ঘটা করে কেক কেটে তাদের নেত্রীর জন্মদিন পালন করতেন। কিন্তু ২০১৬ সালে থেকে তারা দলীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি না দিয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করে আসছেন।
খালেদা জিয়া গত কয়েকবছর অসুস্থতার মধ্যে থাকায় তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজায় চিকিৎসকদের নিবিড় পরিচর্চায় চিকিৎসাধীন আছেন। নেতা–কর্মীদের তিনি সাক্ষাৎ দেন না। তবে দুই ঈদে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এর মধ্যে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে চার মাস কাটান তিনি। সেখান থেকে গত ৬ মে ফেরেন তিনি। এরপর এক যুগের বেশি সময় পর গত ১০ মে দুই পূত্রবধূকে নিয়ে গুলশানে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের বাসায় যান তিনি।
তবে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর প্রকাশ্যে কোনো অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছিল খালেদা জিয়াকে। সেদিন তিনি সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
