বাঁশখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ও পৌরসভার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো টানা বর্ষণ ও বন্যায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, বাঁশখালীর ২২০ কিলোমিটার সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে ১৫ কিলোমিটার পাকাসড়ক সম্পূর্ণ ও ২০ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইট দ্বারা নির্মিত সড়কের ২০ কিলোমিটার সম্পূর্ণ ও ৩০ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৫৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ও ৮০ কিলোমিটার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারি হিসাবে এতে ক্ষয়ক্ষতি ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে।
তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানান জনপ্রতিনিধিরা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা জানান, অতি বৃষ্টির ফলে মূল সড়কসহ বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের কার্পেটিং নষ্ট ও সড়কের দুপাশে ধসে গেছে। পুঁইছড়ি প্রেম বাজার থেকে ছনুয়া সড়ক, পুকুরিয়া ডিসি সড়ক, সাধনপুর থেকে খানখানাবাদগামী সড়ক, বাণীগ্রাম কালীবাড়ি থেকে আনন্দবাজার সড়ক, সাধনপুর বনিকপাড়া সড়ক, ছনুয়া ইজহারুল হক চৌধুরী বাড়ি সড়ক, ছনুয়া মৌলভী আবদুল লতিফ সড়ক, ছনুয়া ডিসি রোড়, কাতেরপাড়া সংযোগ সড়ক, মিয়াজান ও বাচামিয়া সড়ক, শীলকুপ টাইমবাজার থেকে গন্ডামারা সড়ক, দারোগাবাজার থেকে জালিয়াখালী বাজার সড়ক, থানাসদর থেকে সরলের কাহারঘোনা মিনজীরিতলা সড়ক, মিয়ার বাজার থেকে সরল বাজার সড়ক, বশিরউল্লাহ বাজার হয়ে সমুদ্রসৈকতগামী সড়ক, গুনাগরী খাসমহল হয়ে বাহারছড়া সড়ক, পুকুরিয়া ডিসি রোড়, পুকুরিয়া চৌমহনী থেকে চাঁনপুর বেলগাঁও চা বাগান সড়ক, বাঁশখালী ইকোপার্ক সড়কসহ অভ্যন্তরীণ অর্ধশতাধিক সড়ক সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো সংস্কারহীন ছিল। সম্প্রতি কয়দিনের প্রবল বর্ষণ ও পানি জমে থাকার ফলে সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে উপজেলাবাসীর চরম ভোগান্তি হচ্ছে।
কালীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনম শাহাদত আলম বলেন, প্রধান সড়ক ও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো দ্রুত সংস্কার করা না হলে জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়বে।
উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় বাঁশখালীর ১৪টি ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ সড়কে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে কাঁচা–পাকা সড়কে বিছানো খোঁয়া উঠে গিয়েছে। এসব সড়ক সংস্কার করা সম্ভব হলে জনগণের ভোগান্তি কমবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।