মাঘ মাসে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার রাতে এবং গতকাল সোমবার ভোরে ও সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। সাথে বেশ ঠান্ডাও অনুভূত হয়েছে। আজ এই বৃষ্টি কেটে গেলে দুয়েকদিনের মধ্যে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা কমে আসবে। তবে চট্টগ্রামে শৈত্য প্রবাহ বা তীব্র ঠান্ডার দেখা মিলবে না। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল চট্টগ্রামে শীতের দেখা মিলছে না বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। চট্টগ্রামে স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। পশ্চিমা এবং মৌসুমী লঘুচাপের ফলে চট্টগ্রামের আকাশে আরো কয়েকদিন মেঘের আনাগোনা থাকবে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, চট্টগ্রামে গত রোববার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল ভোরের দিকে বাড়ে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে চট্টগ্রাম আবহাওয়া বিভাগ পয়েন্ট ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। দেশের ৮ বিভাগেই গতকাল বৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঢাকা অঞ্চলে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চট্টগ্রামে আজকের মধ্যে বৃষ্টির আবহ কেটে যাবে বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে বৃষ্টিপাত না হলেও আকাশে মেঘের আনাগোনা থাকবে। মেঘের কারণে শীত তীব্র হবে না। চট্টগ্রামে আগামী কয়েকদিন শীতের তেমন প্রকোপ থাকবে না উল্লেখ করে আবহাওয়া বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ১ ফেব্রুয়ারির দিকে আবারো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আজকের মধ্যে বৃষ্টি কেটে গেলে বুধ বা বৃহস্পতিবার থেকে রাতের তাপমাত্রা কমে শীত কিছুটা বাড়তে পারে। তবে চট্টগ্রামে এবার শীত জেঁকে বসার সম্ভাবনা কম।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার চরিত্র পাল্টে গেছে। অস্বাভাবিক আচরণ করছে প্রকৃতি। মাঘ মাসে তীব্র শীত অনুভূত হওয়ার কথা থাকলেও চট্টগ্রামে স্বাভাবিকের চেয়ে বহু বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। গতকাল চট্টগ্রামে স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার কথা ছিল ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অথচ গতকাল চট্টগ্রামে রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে করে একরকমের উঞ্চতা বিরাজ করছে প্রকৃতিতে। বৃষ্টির আবহ কমে গেলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে, তবে তীব্র শীত অনুভূত হবে না বলেও আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে।