গত দুই দিন গভীর রাতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের ফলে কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। লেকে পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপ্তাইয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে।
পাঁচটি জেনারেটরের মধ্যে বর্তমানে তিনটি জেনারেটর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রয়েছে।
এই তিনটি জেনারেটর থেকে ১২৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে বলে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) কাপ্তাই লেকে পানি রয়েছে ১০২ ফুট মীন সী লেভেল (এমএসএল)।
অবশ্য রুলকার্ভ অনুযায়ী লেকে এই মুহূর্তে পানি থাকার কথা ১০৭ ফুট এমএসএল। রুলকার্ভের চেয়ে লেকে এখনো ৫ ফুট পানি কম রয়েছে।
সূত্র জানায়, এক সপ্তাহ আগেও কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ ছিল ৯৫ ফুট এমএসএল-এর নিচে।
লেকে পানি কম থাকায় তখন ৫টি জেনারেটরের মধ্যে মাত্র ১টি জেনারেটর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল ছিল।
তখন ঐ একটি জেনারেটর থেকে মাত্র ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতো। লেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনও বাড়ানো হয়।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এ টি এম আব্দুজ্জাহের কাপ্তাই লেকে পানি বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “বর্তমানে ১, ৩ ও ৫ নম্বর জেনারেটর বিদ্যুৎ উৎপাদনে সচল রয়েছে। ১ ও ২ নম্বর জেনারেটর থেকে ৪৪ মেগাওয়াট হারে মোট ৮৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে। ৩ নম্বর জেনারেটর থেকে ৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হচ্ছে।” উৎপাদিত বিদ্যুতের পুরোটাই জাতীয় গ্রীডে সঞ্চালন করা হয় বলে জানান তিনি।