আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী নগর ও আশেপাশের এলাকায় আজ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি না হলেও গত ১২ দিন ধরে স্বাভাবিকের চেয়ে যে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে তা কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদগণ। এমনটা হলে গরম থেকেও মুক্তি মিলবে না নগরবাসীর। এদিকে গতকাল সোমবারও নগরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল। ফলে এদিনও গরমে হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে নগরবাসীকে। অবশ্য গতকাল বাতাসের গতিবেগ আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেশি ছিল, যা গরমের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়।
এদিকে নগরের বাইরে উপজেলায়ও গতকাল তীব্র গরম পড়েছে। সেখানেও তাপমাত্রা বেশি ছিল। এর মধ্যে সন্দ্বীপে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সীতাকুণ্ডে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। অর্থাৎ গতকাল সীতাকুণ্ডে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি হলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল নগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
এছাড়া আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগর ও আশেপাশের এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িকভাবে মেঘলা থাকতে পারে। সেই সাথে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ হারুন–অর–রশীদ আজাদীকে বলেন, বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। হয়তো মেঘ থাকবে। ব্যাপক হারে বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা খুব বেশি কমবে না।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে : বিডিনিউজ জানায়, জনজীবনে দুর্ভোগ বয়ে আনা টানা দুই সপ্তাহের চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় চুয়াডাঙ্গাকে ছাড়িয়ে গেছে ঈশ্বরদী। পাঁচ দশকের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পাবনার এ উপজেলায়।
গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা কমলেও বেড়েছে রাজশাহী অঞ্চলে। দেশজুড়ে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার মধ্যে এদিন ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গরমে ভোরে কুয়াশা নয়, ধোঁয়াশাও ছিল : বাংলাদেশ ও উপমহাদেশীয় সংলগ্ন এলাকায় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত রাতের আকাশ মেঘমুক্ত ছিল। বিকিরণজনিত কারণে তাপমাত্রা কমে রাতে ২২–২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসেও ওঠানামা করেছে। ফলে এ তাপমাত্রায় সকাল ৫টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে আকাশে জলীয় বাষ্প বাতাসে যে ধুলিকণা থাকে তার সংমিশ্রণে ধোঁয়াশার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এটা কুয়াশা নয়, ধোঁয়াশা। এখন মেঘমালা আসতে শুরু করেছে, জলীয় বাষ্প বাড়বে। রাতের তাপমাত্রাও বাড়তে শুরু করবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে এলে অস্বস্তি বোধও কেটে যাবে।