বর্ষাকাল, আষাঢ় মাস শেষে শ্রাবণ মাসও শেষ হতে চলল। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা মিলছিল না। এতে শুষ্ক মৌসুমের ন্যায় চট্টগ্রামের কৃষকদের সেচের উপর নির্ভর করে আমনের বীজতলা তৈরি করতে হয়েছিল। রোপণের সময় অতিবাহিত হলেও এতদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সেচ দিয়েই চারা রোপণ করছিল অনেকে। তবে গত দুইদিন ধরে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে বেড়েছে আমন রোপণে কৃষকের ব্যস্ততা।
সরেজমিনে চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার খ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রাক্টর দিয়ে জমি আমন ধান রোপণের জন্য প্রস্তুত করছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার জমি থেকে চারা তোলার পর রোপনে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন।
গুমাইবিলের কৃষক ফরিদুল ইসলাম এবার ১০০ কানি (১৮ হেক্টর) জমিতে আমনের আবাদ করেছেন। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ পাম্প দিয়ে চারা রোপণ করেছেন তিনি। এতে খরচ কিছুটা বাড়লেও রোপণ কাজ শেষ করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেন তিনি। আমিরুল ইসলাম নামে অপর এক কৃষক বলেন, অন্যান্য বছর সময় মতো বৃষ্টি হলে আষাঢ় মাসের মধ্যেই আমনের চারা রোপণ কাজ শেষ করতে পারতাম। তবে এবার বৃষ্টি দেরিতে হওয়ায় শ্রাবণ মাসের দ্বিতীয় পক্ষে এসে চারা রোপণ করতে হচ্ছে। কারণ সব জমিতে সেচ পাম্প দিয়ে আমন চাষাবাদ সম্ভব হয় না। এখন বৃষ্টি হওয়ায় সব কৃষক আমন রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
গুমাইবিলে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার জানান, সময়মতো বৃষ্টির দেখা না মেলায় অনেক কৃষক সেচ পাম্প দিয়ে আমনের চারা লাগিয়েছেন। তখন আবার শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ছিল ৫০০ টাকা করে। এখন বৃষ্টি হওয়ায় সবাই যখন ব্যস্ত হয়ে আমন চারা রোপণ করছেন। তাই শ্রমিকের মজুরি এখন ৮০০ টাকা। ফলে আগে পরে হলেও খরচ একই যাচ্ছে কৃষকদের। ইতিমধ্যেই গুমাইবিলে লক্ষ্যমাত্র ৩৫০০ হেক্টরের মধ্যে ৫০% রোপন হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, চলতি আমন মৌসুমে রাঙ্গুনিয়ার ১৫ হাজার ৪৪৫ হেক্টর জমিতে আমণ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।