মহানগর সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরী স্মারক সম্মাননা ও বুলবুল নৃত্যউৎসবের দ্বিতীয় দিনে গতকাল বুধবার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, বুলবুল চৌধুরীর আগে বাঙালি মুসলমান সমাজে নাচের চর্চা ছিল না বললেই চলে। বুলবুল চৌধুরী বাঙালি সংস্কৃতির এক অনন্য শিল্পী। তিনি ছিলেন নিরন্তর সৃষ্টিশীলতায় মুখর এক ক্ষণজন্মা এবং বাঙালি নৃত্যশিল্পচর্চার নবধারার প্রবর্তক। জেলা পরিষদ চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল বলেন, নৃত্যশিল্পচর্চাকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে নৃত্যাচার্য বুলবুল চৌধুরীর কীর্তিকে জাগিয়ে তুলতে হবে। বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নূর আনোয়ার রনজু বলেন, বুলবুল চৌধুরী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম এক গর্বিত সদস্য। নৃত্যশিল্পে উদয়শঙ্করের পর বুলবুল চৌধুরীই সবচেয়ে পরিচিত–জন। বুলবুল চৌধুরীকে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের নিজেদের জন্য দরকার। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সাহাব উদ্দিন মজুমদার এবং প্রাপন্তি চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, বরেণ্য চারুশিল্পী দীপংকর দেবনাথ, দিলীপ সেন গুপ্ত, রুজি চৌধুরী প্রমুখ। নিত্যচার্য বুলবুল চৌধুরী স্মারক সম্মাননা গ্রহণ করেন ঘুঙ্গুর নিত্যকলা কেন্দ্র, স্কুল অব ওরিয়েন্টাল ডান্স, সঞ্চারী নিত্যকলা একাডেমী, সুরাঙ্গন বিদ্যাপীঠ ডান্স একাডেমী, নৃত্যম একাডেমী, বেণুকা ললিত কলা একাডেমী, রুমঝুম নিত্যকলা একাডেমী, কৃত্বিকা নিত্যালয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











