সময়ের নিখাদ কারুকল্প আঁকি রোজ। বুনো ইচ্ছেগুলো, আকাশে বাধ্য শিশুর মতো ঘন মেঘদল হয়ে ঘুরে বেড়ায়। দূর্বা ছায়ায় বেড়ে উঠা ঘাসফড়িং বড়ো আপন আমার, সখ্যতাও বেশ! কোজাগর পূর্ণিমার ভরা যৌবনে আমি বিমোহিত। অরণ্যে ভোর দেখি মনে মনে, বুনো ঝোপের আঙিনায় সন্তর্পণে পা ফেলি।
বাতাসের নির্জন গোঙানীর শব্দে আমি ব্যাকুল হয়ে পড়ি। তুমুল বৃষ্টিতে, বর্ষার নতুন পানির নীরব বিলের মাঝে শাপলা কুড়োনার সুখ.. আহ, কল্পনাতীত। পৌষের উর্বশী দিনগুলো মোটা কাঁথার নিচে নিশ্চুপে কেটে গেলো। উদাস হওয়ার বিলাসিতা পেয়ে বসে হঠাৎ। দীপ্ত প্রাণের প্রাণোচ্ছল অভিমান আমি এখানেই
মেলে ধরি। এ আমার সাতকাহনের দিস্তা খরচের বিরাট বড়ো প্রান্তর! সর্ষে ফুলের তুমুল উজ্জ্বলতায় আমি মউ মউ সুগন্ধ খুঁজি। বুনো ইচ্ছেগুলো মেঘের খামে ভরে উদ্দেশ্যহীন ঠিকানায় উড়িয়ে দিই। আমার সমস্ত উচ্ছ্বাস, সমস্ত কষ্টকে রুমালের নকশায় নরোম আদরে সুতোয় গাঁথি। ইথারে ভাসে মগ্নতার গান, আমি
কান পেতে শুনি। হঠাৎ বৃষ্টি এলো! মুক্তোর দানার মতো উজ্জ্বল বৃষ্টির ফোঁটাগুলো! আমি চেয়ে থাকি মেঘের কান্নার রূপ! আমি মুগ্ধ। কান্নাও নান্দনিক হয়, তা তো জানতামই না! কালো মেঘ হয়ে সমস্ত বিষাদ কি করে এতো দৃষ্টিনন্দন হয়! হয়তো এমনই হতে হয়, এমনই হওয়ার ছিলো!