বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়

আজাদী ডেস্ক | শুক্রবার , ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

১৯৭১ সালের এদিনে সেনানিবাসে প্রাদেশিক সরকারের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর সভাপতিত্বে বৈঠক বসে। ওই বৈঠক থেকেই আলবদর, আলশামস বাহিনীর কেন্দ্রীয় অধিনায়কদের সঙ্গে নিয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়। বৈঠক শেষে, ফরমান আলী তৎকালীন বাংলাদেশের শীর্ষ মুক্তবুদ্ধির অধিকারীদের তালিকা তুলে দেন হত্যাকারীদের হাতে।

পরিকল্পনা মাফিক, সে রাতেই আলবদর বাহিনী সাংবাদিক নিজামউদ্দিন আহমদ, আ ন ম গোলাম মোস্তফাকে তাদের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারা আর জীবিত ফিরে আসেননি। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে হানাদার বাহিনীর ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। এদিকে, চার নম্বর সেক্টরের মুক্তিবাহিনী হরিপুর আক্রমণ করে, একদিন সম্মুখযুদ্ধের পর হরিপুর শত্রুমুক্ত হয়। একই সঙ্গে হানাদারমুক্ত হয় নীলফামারী, গাইবান্ধা, নরসিংদী, সরিষাবাড়ী, ভেড়ামারা এবং শ্রীপুর।

যৌথবাহিনী টাঙ্গাইল অভিমুখে আক্রমণ শুরু করে। সূর্যাস্তের আগে জামালপুর ও ময়মনসিংহের দিক থেকে টাঙ্গাইলে প্যারাস্যুট ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যোগ দিয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, কালিয়াকৈর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ছত্রীসেনা নামিয়ে রাতে হানাদার বাহিনীর উপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে কাদেরিয়া বাহিনী। সারারাত তুমুল যুদ্ধ শেষে ভোরে হানাদার বাহিনী অস্ত্র সমার্পন করে। বিজয়ীর বেশে মুক্তিবাহিনী ঢাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ওদিকে, ঢাকায় পাক সামরিক অবস্থানের ওপর বিমান হামলা অব্যাহত থাকে। এদিন ঢাকায় কারফিউ, ঘরে ঘরে তল্লাশির নামে লুটতরাজ শুরু হয়। অবরুদ্ধ ঢাকাবাসী শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় আশঙ্কার দিনযাপন করতে থাকে। যে কোনো সময় মুক্তিমিত্রবাহিনীর মিলিত কমান্ড পাকিস্তানিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে এমন খবরে অনেকেই ঢাকা ছেড়ে মুক্তাঞ্চলে চলে যায়। ঢাকা থেকে কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইলেক্টিভ ভেন্টিলেশনে রেখে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে : মেডিকেল বোর্ড
পরবর্তী নিবন্ধনির্বাচন কমিশনকে প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন