রাত পোহালেই বহ প্রতিক্ষীত চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন। দীর্ঘ একযুগ পর হচ্ছে নির্বাচন। সবশেষ ২০১১ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছিল। গতবার নির্বাচন হয়েছে বটে। সেটা বলতে গেলে এক পক্ষীয় নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ২১ পদের জন্য। নির্বাচন কমিশনার তানভীর আল নাসীফ গতকাল জানিয়েছেন তাদের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। এবারের নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে পুরানো লোহার বাক্সে। দেশের বিভিন্ন সংগঠনের নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হলেও এখানে নয় কেন? তেমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার জানান তারা সরকারের নির্বচান কমশিন কার্যালয়ের কাছে স্বচ্ছ ব্যলট বাক্স চেয়েছিলেন। কিন্তু যেহেতু জাতীয় নির্বাচনে সে বাক্স ব্যবহার হচ্ছেনা তাই তাদের কাছে আপাতত স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স হাতের নাগালে নেই। তাই পুরানো ব্যালট বাক্সে ভোট গ্রহণ করা হবে। বাক্স স্বচ্ছ না হলেও নির্বাচনের সব প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার। যে সব ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবেন তারা বুথে কোন ধরনের মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিতে পারবেন না। ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় নিজেদের মোবাইল দায়িত্ব পালনরত স্কাউটের হাতে জমা দিয়ে যেতে হবে বলেও জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার। কারণ বুথে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিয়ে গেলে সেখান থেকে ছবি তুলে এনে বাইরে দেখানোর মত অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া অনেকেই আবার কোন কোন ভোটারকে শর্ত দিয়ে থাকে যে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে দিয়েছে তার প্রমাণ হিসেবে ছবি তুলে এনে দেখাতে হবে। তাই নির্বাচন কমিশন ভোটের বুথে মোবাইল কিংবা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস নিষিদ্ধ করেছে। ভোটের সময় প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা কোথায় থাকতে পারবে তারও একটি নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ারও কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার।
 
        
