শহরের কোলাহল ছেড়ে শান্ত গ্রামের মায়া
অপার সুখ সবুজ শ্যামল শীতল গাছের ছায়া।
লাফিয়ে জলে স্নানের স্মৃতি সান বাঁধানো ঘাট
দলছুটেরা দৌড়ে বেড়ায় খেলার অবারিত মাঠ
পাখপাখালির কিচিরমিচির মধু সুরের গান
মায়ের হাতের শীতের পিঠা স্মৃতিতে অম্লান।
খেজুর গাছের কাঁচা রসে প্রাণটাকে জুড়াই
ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠা মিলে মিশে খাই।
মাটির চুলোয় আগুন দিয়ে চোখে লাগে ধোঁয়া
খালি পায়ে খোলা মাঠে মাটির লাগে ছোঁয়া।
সাজ বেলাতে পুঁথি পাঠে জমে উঠতো আসর
নিকষকালো রাতের গায়ে পরতো চাদের পসর
চাঁদনী রাতে আঙিনায় বসে শুনি কত গল্প
দিঘির জলে ডুব সাঁতারে শালুক তুলি অল্প
অলস দুপুর গল্প গাঁথি নকশি কাঁথার বুকে
গোধূলি বেলা ঘুড়ি উড়াই শান্ত মনের সুখে
ছেলেবেলায় ফিরে যেতে মনটা ভীষণ চায়
খেলার ছলে ব্যথা পেলে কোলে নিতো মায়।
বুকের ভেতর জড়িয়ে ধরে মা যে দিত চুম
উষ্ণ আদরে দু চোখেতে ভিড় করতো ঘুম।