হাটহাজারীতে বিয়ে উপলক্ষ্যে আয়োজিত পারিবারিক বৈঠকে (পানসল্লা) তর্কাতর্কির জেরে ছুরিকাঘাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রবিউল ইসলাম বাবু (৪২) কে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী মামলা দায়েরের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার সকালের দিকে নিহতের ভাই কামরুল বাদী হয়ে মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ঘটনার পর পর উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড নাজিরহাটস্থ মন্দাকিনী এলাকার মুসা সওদাগর বাড়ির মৃত ইব্রাহিমের পুত্র ঘাতক জসিমকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭ এর সদস্যরা।
জানা যায়, শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উল্লেখিত স্থানে আয়োজিত বৈঠকে সামাজিক বিষয় নিয়ে রবিউল ইসলাম বাবু ও জসিম উদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে বৈঠক শেষে ঘাতক জসিম চাকু দিয়ে বাবুকে আঘাত করলে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এসময় উত্তেজিত জনতা ঘাতক জসিমকে ধরে গণপিটুনি দিতে চেস্টা করলে পুলিশ ও র্যাব-৭ এর সদস্যরা তাকে কৌশলে চাকুসহ গ্রেফতার করে। এবং ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশটি চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সেলিম জাহাঙ্গীর আলম জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার নাজিরহাট কলেজ মাঠে জানাযা নামাজ শেষে মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জানতে চাইলে হাটহাজারী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী শনিবার রাত ৮ টার দিকে এ প্রতিবেদককে জানান, মামলার পর ঘাতক জসিমকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।











