আসন্ন নারী এশিয়া কাপের আসর বসবে শ্রীলংকার মাটিতে। সেখানে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারী আম্পায়ার সাথীরা জাকির জেসি ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। এমন সুযোগ পাওয়ার পর গতকাল মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাবেক এই ক্রিকেটার। সেখানে জেসি বলেন, ‘এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছি। কারণ খুব তাড়াতাড়ি স্বপ্নটা পূরণ হয়ে যাচ্ছে তো। গত এশিয়া কাপে আমি খুব কাছাকাছি ছিলাম দলের। ওই সময় যখন দেখেছি যে কাতার, ইউএই ও মালয়েশিয়া থেকে মেয়ে আম্পায়াররা আম্পায়ারিং করছে; সেখানে বাংলাদেশ থেকে কেউ নেই, তখন থেকেই লক্ষ্য ছিল পরের এশিয়া কাপটা আমি করব।’ ‘লক্ষ্য ছিল ঠিকই, কিন্তু স্বপ্নটা এত তাড়াতাড়ি পূরণ হবে জানতাম না। খুবই ভালো লাগছে। প্রথমত বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই এবং দ্বিতীয়ত আম্পায়ার্স কমিটিকে। অবশ্যই এই জায়গাটায় সবচেয়ে বেশি অবদান মিঠু ভাই ও অভি ভাইয়ের। ওমর ভাই ছিল, মনি ভাই ছিল। সবাই সাপোর্ট দিয়েছে’, আরও যোগ করেন তিনি। বিসিবির প্রশংসা করে জেসি বলেন, ‘বিসিবি এই যে সাহসটা করেছে আমাদের নারী আম্পায়ারদের নিয়ে। আইসিসিতে নাম পাঠিয়েছে, আমাদের মনোনয়ন দিয়েছে। আমরা আইসিসি প্যানেলভূক্ত হয়েছি। শুরু থেকে এই পর্যন্ত, ছেলেদের ম্যাচে (পরিচালনার দায়িত্ব) দেওয়া থেকে শুরু করে; খুবই সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে আম্পায়ার্স বিভাগ ও বিসিবি। সেটার প্রতিদান স্বরূপ মনে হয় এই জায়গায় আসা।’ তবে এমন টুর্নামেন্টে ম্যাচ পরিচালনায় চ্যালেঞ্জও দেখছেন দেশের এই নারী আম্পায়ার, ‘বিশ্বকাপের পরই বড় হচ্ছে এশিয়া কাপ। এশিয়ার জন্য তো অবশ্যই। যেকোনো বড় আসর চ্যালেঞ্জিং। কিন্তু এশিয়ার সব বড় বড় দলগুলো একসঙ্গে, এর আগে কখনও করা হয়নি। এখানে সবার চোখ থাকবে। এশিয়া কাপে যদি ভালো করতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপ নিশ্চিত।’ উল্লেখ্য, ১৯ জুলাই শ্রীলংকায় পর্দা উঠবে নারী এশিয়া কাপের, দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেই সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হবে ভারত–পাকিস্তান। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার সঙ্গে রয়েছে মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড। আসরের দ্বিতীয় দিনেই মুখোমুখি হবে নতুন দুই উষ্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ও লংকান মেয়েরা। মহাদেশীয় আসরটি চলবে ২৮ জুলাই পর্যন্ত। সবমিলিয়ে ১৫টি ম্যাচই হবে ডাম্বুলায়।