দৈনিক আজাদী সম্পাদক এবং সাবেক লায়ন্স গভর্নর লায়ন এম এ মালেক বলেছেন, মনজুর আলম মনজু দেশের অন্যতম সম্মানজনক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নির্বাচিত হয়ে শুধু নিজে সম্মানিত হননি, সম্মানিত করেছেন লায়নিজমকে। সবচেয়ে বড় কথা তিনি চট্টগ্রামকে সম্মানিত করেছেন। মনজু দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করবেন এটি এখন তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তবে আমি আশা করব, তিনি দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নের পাশাপাশি চট্টগ্রামের ক্রিকেটের উন্নয়নেও বিশেষভাবে কাজ করবেন।
দৈনিক আজাদী সম্পাদক গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সাবেক গভর্নর লায়ন মনজুর আলম মনজু বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫ বি ৪ এবং লিও ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন। লায়ন্স গভর্নর আল সাদাত দোভাষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক গভর্নর লায়ন মনজুর আলম মনজু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক গভর্নর লায়ন কামরুন মালেক, কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন আশরাফুল আলম আরজু, কেবিনেট ট্রেজারার লায়ন আবু বক্কর সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে লায়ন এম এ মালেক বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে নির্বাচন করা অনেক দুরূহ, অনেক কঠিন। বিসিবির মতো সংস্থায় গিয়ে জয়ী হওয়া আরো একটু বেশি কঠিন। কতটুকু জনপ্রিয় হলে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে নির্বাচিত হওয়া যায় তা অনুমান করাও কঠিন। সেই কঠিন কাজটি করে মনজুর আলম মনজু দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এটি শুধু লায়ন বা লিওদের জন্য নয়, এটি পুরো চট্টগ্রামের জন্যই গর্বের।
লায়ন গভর্নর আল সাদাত দোভাষ নিজেও ক্রীড়া জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা উল্লেখ করে বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে বিসিবি পরিচালক নির্বাচিত হয়ে সাবেক গভর্নর মনজুর আলম মনজুু আমাদের গৌরাবান্বিত করেছেন। এই গৌরব আমাদের সকলের। মনজুকে একজন প্রকৃত ক্রীড়াপ্রেমী হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি শুধু ক্রিকেটের সঙ্গে নয়, ফুটবলের সঙ্গেও জড়িত, জড়িত হকির সঙ্গেও। একজন প্রকৃত ক্রীড়ামোদী হিসেবে তিনি দেশের খেলাধুলার উন্নয়নের পাশাপাশি চট্টগ্রামের যুবসমাজকে ক্রীড়ামুখী করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবেন বলেও লায়ন গভর্নর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সংবর্ধিত অতিথি লায়ন মনজুর আলম মনজু বলেন, আমার যা অর্জন তা এই মঞ্চ থেকে। এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমি লিও করতাম। লিও ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। কাজ করেছি লায়ন্স গভর্নর হিসেবেও। আপনাদের ভালোবাসা এবং প্রশ্রয়ে নানাকিছু শিখেছি। যা আজ আমাকে আজকের অবস্থানে আসতে সহায়তা করেছে। তিনি চট্টগ্রামের ক্রিকেটের উন্নয়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার কথা উল্লেখ করে বলেন, এখানে আরো দুজন পরিচালক রয়েছেন। ওনাদের সহায়তা পেলে চট্টগ্রামের যুব সমাজের জন্য ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চালু করার উদ্যোগ নেব। তিনি তৃণমূল এবং যুব ক্রিকেট নিয়ে কাজ করার নিজের স্বপ্নের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিসিবি পরিচালক পদে আমি নির্বাচিত হয়েছি। এই যাত্রা অনেক কঠিন ছিল। তবে এই জয় চট্টগ্রামবাসীর। নিজের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। তিনি বলেন, আমি স্বপ্ন ছুঁতে নয়, স্বপ্ন দেখতে চাই, দেখাতে চাই। ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি লায়ন কামরুন মালেক বলেন, মনজুর আলম মনজু যেখানে গেছেন সেখানে তিনি যেন নিজের মান সম্মান নিয়ে কাজ করতে পারেন আমরা সেই দোয়া করছি। মনজু চট্টগ্রামকে সম্মানিত করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্ব দরবারে সম্মানের আসনে নিয়ে যেতে মনজু কাজ করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে লায়ন ওসমান গনি, হাসান মাহমুদ, আবু মোরশেদ, নুরুল আলম, শওকত আলী চৌধুরী, তপন কান্তি দত্ত, ইমতিয়াজ ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, পারভীন মাহমুদ, গাজী মো. শহীদুল্লাহ, নিশাত ইমরান, হাসান আকবর, কামরুল ইসলাম, মাঈন উদ্দীন মাঈনু, শুভনাজ জিনিয়া, আনিসুল হক চৌধুরী, হেলাল উদ্দীন, লিও আফিফা ইসলাম, শাহরিয়ার ইকবাল, মোহাম্মদ ইরফান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।