ইনজুরির সঙ্গে নিয়মিত লড়তে থাকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবার চিকিৎসার জন্য গেলেন কাতারে। সেখানে ‘অ্যাসপেটার’ নামে একটি স্পোর্টস মেডিসিন হাসপাতালে চিকিৎসক দেখানোর কথা রয়েছে তার। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসা করা হয়েছে নেইমার–কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো ফুটবল তারকাদের। শুধু সাইফউদ্দিনই নন, তার সঙ্গে যাচ্ছেন দুই তরুণ পেসার অভিষেক দাস ও আশিকুর রহমান। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কাতারের উদ্দেশে বিমানে চড়েন তারা। এর আগে মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাইফউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রথমত ধন্যবাদ দিতে হয় বিসিবিকে, আমার ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য। ২০১০ সাল থেকে আমার ওপর ইনভেস্ট করে আসছে। ইনশাআল্লাহ্ আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছি। যেহেতু বোর্ড আমার পাশে আছে। আর প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্য বোর্ড পাশে থাকলে কাজটা অনেক সহজ হয়। এজন্য নিজেকে অনুপ্রাণিত করছি। ওখানে স্পোর্টস মেডিসিন সেন্টার আছে। কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে স্পোর্টস মেডিসিনের দিক থেকে। ইউটিউবে ওদের বিভিন্ন কার্যক্রম দেখেছি। অনেক আশাবাদী। বাকিটা আল্লাহ্ ভরসা।’ পুরো সপ্তাহকে যেন কাজে লাগানো যায়, এজন্য শনিবার উড়াল দিয়েছেন সাইফউদ্দিনরা। তাদের সঙ্গে যাচ্ছেন বিসিবি চিকিৎসক মনজুর আহমেদ। সামনেই রয়েছে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্ট। সুস্থ হয়ে ফিরতে কতদিন লাগবে সাইফউদ্দিনের? নিশ্চিত করে তিনি বলতে পারেননি সেটি। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে থাকতে না পেরে খারাপ লাগছে বলেও জানান এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘এটা আসলে বলাটা কঠিন সুস্থ হওয়া। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল ওখানকার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে উনারা হয়তো একটা পরিকল্পনা দেবেন। অথবা আরও কয়েকজন চিকিৎসককে দেখানো হবে। তারপর আসলে ওখানে ভিজিট করার পর বলতে পারবো। এই মুহূর্তে বলা কঠিন।’ হাল না ছাড়ার প্রত্যয় জানিয়ে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘ক্রিকেট আমার পেশা। সত্যি বলতে, আমি বিসিএস ক্যাডার নই যে, অন্য কোনো চাকরি করব (হাসি)। যত দিনই খেলতে হবে, লড়াই করে খেলতে হবে। এটা আমার রুটি–রুজি। ক্রিকেট আমার সব কিছু। এটার জন্য যতটুকু করা দরকার, সব সময় করে এসেছি এবং সবসময় করব।’











