বিষমুক্ত আম পেতে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কাপ্তাই উপজেলার রাইখালীতে অবস্থিত পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তির ব্যবহার দেখা গেছে। কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের শতশত গাছে ঝুলে থাকা আমে ফ্রুট ব্যাগিং পরিলক্ষিত হয়েছে। ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি বিষয়ে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আম গাছে থাকা অবস্থায় নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ ধরনের ব্যাগ দিয়ে ঢেকে রাখতে হয়। ব্যাগিং করার পর থেকে আম সংগ্রহ করা পর্যন্ত গাছেই লাগানো থাকে ব্যাগটি। রঙিন আমের জন্য সাদা এবং অন্যান্য জাতের আমের জন্য বাদামী রঙের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তিতে আম সব ধরণের আঘাত, পাখির আক্রমণ, প্রখর সূর্যালোক, রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ হতে রক্ষা পাবে। ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যাবহারে ফল ছিদ্রকারী পোকা এবং মাছি পোকা থেকেও আম সুরক্ষিত থাকবে। আমে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহার করলে শতভাগ সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গেছে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র রাইখালীতে প্রতিটি আম গাছে ২০১৭ সাল থেকে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রথম প্রথম পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হলেও পরবর্তীতে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তিকে স্বাভাবিকভাবেই নেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আম গাছে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তির ব্যবহার দেখে আশপাশের আম চাষীরাও তাদের গাছে ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন। ফ্রুট ব্যাগিং প্রযুক্তি ব্যবহারে কেউ যদি পরামর্শ চান তাহলে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে সবধরণের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলেও কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেন জানান।