মানুষের রোজগার না বাড়িয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে সরকার একের পর এক তেল–গ্যাস–বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েই চলেছে। বর্তমান সরকারের আমলে ১১ লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এখন গরিবের পকেট কাটতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। এ জন্যই বিরোধী জোটের ১০ দফার যুগপৎ আন্দোলন চলছে। অবিলম্বে সকল দাবি মেনে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিয়মতান্ত্রিক অহিংস আন্দোলন চলছে। সরকার যদি জনগণের দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে তাহলে এই গণআন্দোলনেই সরকারের পতন হবে। গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১২ দলীয় জোটের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বে জোটের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে আন্দরকিল্লায় গিয়ে শেষ হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ইলিয়াস। কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুন জোয়ার্দ্দারের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাজি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস–চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফয়সাল মেহেদী, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল–হাসান সাকিব, জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ মোজাম্মেল, জাগপার চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ আনাস, লেবার পার্টির চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলাউদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আবুল কাসেম ইসলামাবাদী, ইসলামী ঐক্যজোট মহানগর সভাপতি রব্বানী, এলডিপি মহানগর সভাপতি শওকত ওসমান, জাতীয় দলের মহানগর সভাপতি চাঁন মিয়া।
বক্তব্য রাখেন মহানগর সহ–সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারী, মোর্শেদা বেগম, যুগ্ম সম্পাদক মীর নজিবুল্লাহ কায়সার, ফরিদ উদ্দিন, যুব কল্যাণের মহানগর সেক্রেটারী মাহবুবুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মার্তুজা হুসাইন প্রমুখ।












