বিশ্ব বসতি দিবস আজ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ

আজ সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য– ‘স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় চট্টগ্রামসহ সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হবে।

সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিতকরণসহ বাসযোগ্য ও নিরাপদ আবাসস্থলের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সাল থেকে সারা বিশ্বে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।

জানা গেছে, ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত চটগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক), গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা নগরবাসীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। এর সঙ্গে আছে বেসরকারি আবাসন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু শুরুতে ধনাঢ্য ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের পক্ষে আবাসন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সুবিধা নেয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে কিস্তি সিস্টেম চালু হলে কিছুটা সাহস করে মধ্যবিত্ত জনগেষ্ঠি। এছাড়া ১৯৯৫ সালের পর থেকে চট্টগ্রামে ফ্ল্যাট কালচার শুরু হয়। শুরুতে নাসিরাবাদ এলাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করে এ ফ্ল্যাট বাণিজ্য চলে। এছাড়া সরকারের গৃহহীনভূমিহীনদের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ এর মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এদিকে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কর্মসংস্থান, আবাসন, শিক্ষা, চিকিৎসা, যানবাহন প্রভৃতি নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পরিকল্পিত নগরায়ন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে অন্যতম নিয়ামক। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে টেকসই শহর ও জনপদ গড়ে তোলা জরুরি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ এর অভীষ্ট ১১তে বিশ্বব্যাপী অন্তর্ভুক্তিমূলক, নিরাপদ, অভিঘাতসহনশীল এবং টেকসই নগর ও জনবসতি গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকার টেকসই শহর ও জনপদ গড়ে তোলার জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী আবাসন, মৌলিক সেবায় পর্যাপ্ত প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণ এবং নিম্নবিত্তদের আবাসন নিশ্চিতকরণে কাজ করছে। প্রেক্ষিতে দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমূহই চালিকাশক্তি’ যথার্থ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেন, দেশের গৃহহীনভূমিহীনদের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ এর মাধ্যমে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশে আর কোন গৃহহীনভূমিহীন মানুষ থাকবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে নগর ও গ্রাম অঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে আমাদের সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি কর্মকর্তাকর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ৮ শতাংশ হতে ২৮ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে, যা শিগগিরই ৪০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। এ সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোরাম সংকটে সংসদ অধিবেশনে অপচয় ৮৯ কোটি টাকা : টিআইবি
পরবর্তী নিবন্ধরাজপথে কাকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তা জানি : তথ্যমন্ত্রী