পর্যটনে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে আজ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলদেশেও ‘পর্যটন এবং সবুজ বিনিয়োগ’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হবে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এদিকে আজ থেকে কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে সাত দিনব্যাপী পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। মেলাকে ঘিরে সৈকত জুড়ে চলছে সাজ সাজ রব। আজ থেকে শুরু হওয়া সাত দিনের আয়োজনে থাকছে কনসার্টসহ জমকালো আয়োজন। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেলা উদ্বোধনের পরদিন অর্থ্যাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে টানা তিন দিনের ছুটি শুরু হওয়ায় এ মেলাকে ঘিরে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম হবে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে পর্যটন মেলার মঞ্চ ও দুই শতাধিক স্টল নির্মাণ করা হয়েছে। হোটেল–মোটেল থেকে শুরু করে খাবারের রেস্তোরাঁ, কিটকটসহ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সব প্রতিষ্ঠানে ‘বিশেষ ছাড়’ দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ব পর্যটন দিবসের সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে থাকছে সার্কাস প্রদর্শনী, বিচ বাইক র্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ডিজে শো, আতশবাজি, রোড শো, সেমিনার, ঘুড়ি উৎসব, ম্যাজিক শো, ফায়ার স্পিন, লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, ফানুস উৎসব, সার্ফিং প্রদর্শনী, বিচ ম্যারাথন, বিচ ভলিবল, কনসার্টসহ নানা আয়োজন। এছাড়াও বিচ কার্নিভালে দর্শক মাতাবে দেশের বিখ্যাত ব্যান্ড দল চিরকুট, আভাস, সুনামগঞ্জের শাহ আবদুল করিমের দল, কুষ্টিয়ার লালন গীতির দল, সিলেট, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহের পালা গানের দলসহ জনপ্রিয় ব্যান্ড ও সংগীত শিল্পীরা। নৃত্য পরিবেশন করবেন তিন পার্বত্য জেলা–বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটিসহ কক্সবাজারের রাখাইন সমপ্রদায়ের তরুণ–তরুণীরা।
জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টানা তিন দিনের ছুটি, তার সঙ্গে হচ্ছে সাতদিনের উৎসব। তাই সৈকত নগরীকে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে। হোটেল সি–গালের ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ রাব্বী বলেন, টানা ছুটি ও সপ্তাহব্যাপী মেলা ও বিচ কার্নিভ্যালকে কেন্দ্র করে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে হোটেলকে। আশা করছি, এই সময়ে লাখো পর্যটকের সমাগম হবে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়ামিন হোসেন বলেন, সাত দিনব্যাপী চলা এই পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভ্যালে কক্সবাজারসহ দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে। বিশ্ববাসীর সামনে কক্সবাজারকে উপস্থাপন করতেই এ মেলার আয়োজন। আশা করি, এ আয়োজনে উৎসবের নগরীতে পরিণত হবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সৈকতে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম আশা করা হচ্ছে। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কয়েক স্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।