বিশ্ব নাগরিকত্ব সূচকে ১২১ নম্বরে বাংলাদেশ

| রবিবার , ৯ জুন, ২০২৪ at ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব নাগরিকত্ব সূচকে ১৫৭টি দেশের মধ্যে ১২১ নম্বরে নাম এসেছে বাংলাদেশের; যেখানে নাগরিক সুবিধার বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিয়ে করা ১০০ স্কোরের মধ্যে অর্জন ৪৫ দশমিক ৫। যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিএস পার্টনারস সূচকটি তৈরি করেছে, যা প্রতিবেদন আকারে নিজেদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করেছে।

বিনিয়োগের বিনিময়ে বিভিন্ন দেশে নাগরিকত্ব পাইয়ে দিয়ে নিরাপদ আবাস সৃষ্টিতে সরকারের পক্ষে পরামর্শক ও মার্কেটিং ফার্ম হিসেবে কাজ করে থাকে সিএস পার্টনারস। ২০২৪ সালের প্রতিবেদন তৈরিতে শুধু বিভিন্ন দেশের পাসপোর্ট র‌্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভর না করে পাঁচটি বিষয় বেছে নিয়ে সেগুলো বিশ্লেষণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর বিডিনিউজের।

নাগরিকত্বের মান নির্ণয়ে সিএস পার্টনারসের বেছে নেওয়া পাঁচটি বিষয় হলো নিরাপত্তা ও সুরক্ষা, অর্থনৈতিক সুযোগ, জীবনমানের স্তর, বৈশ্বিক চলাচল ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। সূচকে বিষয়ভিত্তিক অবস্থানে দেখা যায়, নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ১২২তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশে। এছাড়া অর্থনৈতিক সুযোগে ৫৭, জীবনমানের স্তরে ১২০, বৈশ্বিক চলাচলে ১২৬ এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় বাংলাদেশ ১২৩তম স্থান পেয়েছে।

এবারের সূচকে ৪৯ দশমিক ৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের অবস্থান ১০৩তম, যেখানে ৩৮ দশমিক ১ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান রয়েছে ১৪৫তম অবস্থানে। সূচকের সবার উপরে আছে আয়ারল্যান্ড, যার স্কোর ৮৬ দশমিক ৬। ৮৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে সুইজারল্যান্ড, ৮৪ দশমিক ৬ স্কোর নিয়ে তৃতীয় ডেনমার্ক, ৮৪ স্কোর নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ এবং ৮২ দশমিক ৭ স্কোর নিয়ে আইসল্যান্ড রয়েছে পঞ্চম অবস্থানে। ২৭ স্কোর নিয়ে সূচকে একেবারে নিচে ১৫৭তম অবস্থান পেয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন। তার ঠিক উপরে রয়েছে যুদ্ধসংকুল দেশ সিরিয়া, যার স্কোর ২৯। তার উপরে আছে সুদান ও আফগানিস্তান।

ওয়ার্ল্ড সিটিজেনশিপ রিপোর্ট ২০২৪’ নামে তৈরি প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব নাগরিকরা এবার তাদের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছে, যা প্রকৃত অর্থে বলতে গেলে নির্বাচনী দায়িত্ব। চলতি বছর বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছে। পূর্বে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে পশ্চিমে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত ভোট আর ভোট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাগরিকদের হাত ধরে ভোটের ইস্যুতে গভীর পরিবর্তনের একটি বিষয় সামনে আসছে। তাদের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে খুবই আগ্রহ উদ্দীপক কিছু প্রশ্ন, যার মধ্যে রয়েছে বিদেশে আবাস গড়া, ভূরাজনৈতিক স্থায়ীত্ব, জলবায়ু পরিবর্তন ও যুদ্ধের দামামা।

বিশ্ব নাগরিকরা জানতে চাইছেন, এসব ইস্যু আসলে কোন পথে এগোচ্ছে। সর্বোপরি এসব পরিবর্তন বিভিন্ন সমপ্রদায়, জাতি ও বৃহৎ পরিসরে বিশ্বকে একটা বাধ্যবাধতার মধ্যে ফেলে দিচ্ছে। ‘সমস্যাসংকুল, পরস্পরবিরোধী অবস্থায় বিশ্ব নাগরিকদের কাছ কী ধরনের দায়িত্ববোধ প্রত্যাশা করা হয়, তা নিয়ে বোঝাপড়ার এটি ‘নির্দেশিকা’ হিসেবে প্রতিবেদনটি দাঁড় করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবজ্রপাতে মায়ের মৃত্যু, বেঁচে গেল সঙ্গে থাকা আড়াই বছরের শিশু
পরবর্তী নিবন্ধআধুনিক লাইব্রেরির কাজ শেষ করল রোটারি ক্লাব চিটাগাং এরিস্টোক্রেট