বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পেস বিভাগ এখন সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে স্পিন-নির্ভরতা কাটিয়ে বেশ ভালোই উন্নতি করেছে পেস বোলিংয়ে । বিশেষ করে ওয়ানডে ফরম্যাটে পেসারদের হাত ধরে সাফল্য আসতে শুরু করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সে নজিরই দেখাগেছে। বিশেষ করে তাসকিন আহমেদের পারফরম্যান্স বেশ প্রশংসিত হয়েছে। সমপ্রতি তার গতি ও লাইন-লেন্থের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। ডানহাতি পেসার তাসকিন প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ৩ ম্যাচে ৮ উইকেট নিয়েছেন। এর মধ্যে শেষ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ ও সিরিজসেরাও নির্বাচিত হয়েছেন। তবে টেস্ট সিরিজের শুরুটা ভালো হয়নি তার। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় টেস্টের আগে ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে দেশে ফিরতে হচ্ছে তাকে। তবে দেশে ফেরার আগে নতুন লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন তিনি। তাসকিন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এই স্বপ্ন নিয়ে আমরা দলগতভাবে পরিশ্রম করি। দলের সবাই অনেক মেহনত করে এখন। সবার পেশাদারিত্বও এখন অন্যরকম। তাছাড়া ফাস্ট বোলিং ইউনিটটা গত দুই বছর ধরে অনেক কষ্ট করছে। আমাদের কোচিং স্টাফের সবাই অনেক সমর্থন দেয়। সুজন স্যারও অনেক সাহায্য করে আমাদের মতো তরুণ পেসারদের। আমাদের ঐক্য যদি ঠিক থাকে, যদি উন্নতি চালিয়ে যেতে পারি এবং সবচেয়ে বড় কথা, সবাই যদি ফিট থাকি তাহলে ভালো কিছু একটা সম্ভব।’ তাসকিন একসময় দল থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন। তার ক্যারিয়ারের সমাপ্তি দেখে ফেলেছিলেন অনেককে। কিন্তু কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি আবারও দলে ফিরে আসেন। নিজের উপলব্ধি নিয়ে এই পেসার বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে সবসময় স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের হয়ে খেলার। হয়তো সেরা একাদশে সুযোগ পাইনি, ওই সময়গুলা খুব কষ্ট হতো। পরে ভাবলাম, আমি যেহেতু পিছিয়ে গেছি শারিরীক-মানসিক এবং দক্ষতার দিক দিয়ে, তো আমাকে এমন কিছু করতে হবে যাতে আবার সুযোগ পাই। এই ভাবনা থেকেই ইচ্ছা জাগে নিজেকে বদলানোর। এখনও অনেক প্রক্রিয়া বাকি আছে, কাজ চলছে।’