বিশ্ব্বে দেড় থেকে ৩ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে ওমিক্রন রোগী

| রবিবার , ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনটি বিশ্বের ৮৯টি দেশে ছড়িয়েছে এবং যেখানে সামাজিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেখানে রোগীর সংখ্যা দেড় থেকে তিন দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে। গতকাল শনিবার হালনাগাদ তথ্য দিয়ে ডব্লিএইচও জানায়, জনসংখ্যার ইমিউনিটি উচ্চ স্তরের যে দেশগুলোতে, সেখানেই ওমিক্রন দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে; এটি ভাইরাসটির ইমিউনিটি এড়ানোর সামর্থ্যের কারণে ঘটছে, নাকি সহজাত সংক্রমণযোগ্যতা বৃদ্ধির কারণে ঘটছে অথবা এ দুটির সম্মিলনের কারণে ঘটছে তা পরিষ্কার নয়। খবর বিডিনিউজের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওমিক্রণ প্রথম শনাক্ত হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ২৬ নভেম্বর করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরনটিকে ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিএইচও, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এটি যে অসুস্থতা সৃষ্টি করে তা কতোটা তীব্র সে বিষয়ে বেশি কিছু জানা যায়নি। ওমিক্রনের সংক্রমণের তীব্রতা নিয়ে এখনও তথ্যের পরিমাণ সীমিত। তীব্রতার মাত্রা এবং এটি টিকা ও আগে থেকে বিদ্যমান ইমিউনিটি দ্বারা কতোটা প্রভাবিত হয় তা বুঝতে আরও তথ্য দরকার, বলেছে ডব্লিউএইচও। ওমিক্রনের ক্ষেত্রে টিকার কার্যক্ষমতা ও কার্যকারিতা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো পিয়ার-রিভিউ করা প্রমাণ নেই, যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাও পর্যাপ্ত নয়, বলেছে তারা।
করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনে আক্রান্তের সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছে তাতে কিছু এলাকার হাসপাতালগুলো রোগীতে উপচে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থাটি। এক্ষেত্রে বিশেষ করে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার কথা বলেছে তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখেজুর রসে অভাব দূর
পরবর্তী নিবন্ধমৃদু শৈত্য প্রবাহ শুরু হতে পারে কাল