বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশ মিলে করোনাভাইরাসের প্রায় চার হাজার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। অতিসংক্রামক এইসব ধরন নিয়ে উদ্বেগের মুখে টিকা উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছেন গবেষকরা। তারা ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার মিশ্র ডোজ তৈরির চেষ্টা শুরু করেছেন বলে গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের করোনাভাইরাসের নানা ধরনসহ বিশ্বজুড়ে এমন হাজার হাজার ধরন শনাক্ত হয়েছে; যেগুলো মূল ভাইরাসের চেয়ে আরও দ্রুতগতিতে ছড়ায় বলেই প্রতীয়মান হয়েছে। যুক্তরাজ্যের টিকা বিতরণ বিষয়ক মন্ত্রী নাদিম জাহাওয়ি স্কাই নিউজকে বলেছেন, বতর্মানে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যে সমস্ত টিকা আছে সেগুলো নতুন ধরন মোকাবেলায় কাজ করবে না এমন সম্ভাবনা খুবই কম। তার কথায়, বিশেষ করে মারাত্মক অসুস্থতা কিংবা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অবস্থায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে টিকা কার্যকর না হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারপরও টিকা উৎপাদনকারী সব প্রতিষ্ঠান- ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না, অঙফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অন্যান্যরা তাদের টিকার আরও উন্নয়ন ঘটানো যায় কিনা তা নিয়ে কাজ করছে; যাতে করোনাভাইরাসের যে কোনও ধরন মোকাবেলায় সক্ষম একটি টিকা প্রস্তুত রাখা যায়। খবর বিডিনিউজের।
গত বছরের শেষ দিকে টিকা যখন মহামারীমুক্তির আশা জাগাতে শুরু করেছিল ঠিক, তখনই যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের একটি পরিবর্তিত ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার খবর নতুন উদ্বেগ নিয়ে আসে বিশ্বে। এরপর কিছুদিনের মধ্যেই আরও বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নানা ধরন শনাক্ত হতে হতে এখন বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে প্রায় চার হাজারে। রূপ বদলে ভাইরাস কখনও কখনও আগের চেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে, কখনও আবার সংক্রমণের ক্ষমতা কমে দুর্বল, এমনকি নিশ্চিহ্নও হয়ে যেতে পারে। তবে নতুন ধরনগুলো দ্রুত ছড়াতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালগুলোতে চাপ বাড়বে।