মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ কত?
ইলন মাস্ক নন, বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি এখন জেফ বেজোস। গত সোমবার ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারস ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের কাছে বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তকমা হারিয়েছেন টেসলার প্রধান এবং সামাজিক মাধ্যম এক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক।
জেফ বেজোসের মোট সম্পদ এখন ২০০ বিলিয়ন ডলার। অপরদিকে ইলন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ ১৯৮ বিলিয়ন ডলার। ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ইলন মাস্ক প্রায় ৩১ বিলিয়ন ডলার সম্পদ হারিয়েছেন। অপরদিকে জেফ বেজোস আরও ২৩ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এদিকে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ফের আলোচনায় ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন হলিউড–বলিউডের বড় তারকারা। এতে খরচ হচ্ছে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার। ফলে অনেকেই জানতে চান মুকেশ আম্বানি কত সম্পত্তির মালিক। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেঙের তথ্য অনুযায়ী, আম্বানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১১৫ বিলিয়ন ডলার বা ১১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় তার অবস্থান ১১তম। তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছেন ভারতের আরেক শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি। ১০৪ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তির মালিক তিনি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত চার বছরে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের মোট সম্পদ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। অথচ একই সময়ে বিশ্বের প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ আরও বেশি গরিব হয়েছে। আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অঙফামের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। একই সময়ের মধ্যে, দরিদ্রতম চার ৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন বা ৪৭৭ কোটি মানুষের (বিশ্ব জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ) মোট সম্পদ ০ দশমিক ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মূল্যস্ফীতি, যুদ্ধ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকটের কারণে তাদের দারিদ্র্য আরও বেড়েছে। অঙফাম বলছে, এই দারিদ্র্য দূর করতে ২৩০ বছরের মতো সময় লেগে যাবে।
অঙফাম জানিয়েছে, সামগ্রিকভাবে বিশ্বের সব বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের শেষ পর্যন্ত ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। এবং তাদের সম্পদ বৃদ্ধির হার বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি হারের চেয়েও তিন গুণ বেশি।
ইনইকুয়ালিটি ইনকরপোরেশনের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বের ১০টি বড় করপোরেশনের মধ্যে ৭টিরই বিলিয়নেয়ার সিইও কিংবা শেয়ারহোল্ডার রয়েছে। যদিও বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ শ্রমিকের জীবনযাত্রার মান স্থবির রয়েছে। বিশ্বের ৫২টি দেশে প্রায় ৮০ কোটি শ্রমিকের গড় প্রকৃত মজুরি কমেছে। এই শ্রমিকরা গত দুই বছরে সম্মিলিতভাবে ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলার হারিয়েছে।