বিশ্বে এখন ৮২০ কোটি মানুষের বাস হলেও কয়েক দশকের মধ্যে তা চূড়ায় উঠবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড পপুলেশন প্রসপেক্টস ২০২৪ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ৬০ বছরের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা চূড়ায় উঠবে। ২০৮০ এর দশকের মাঝামাঝিতে চূড়ায় ওঠা জনসংখ্যার পরিমাণ হবে ১০৩০ কোটি। এরপর তা কমতে থাকবে, শতাব্দী শেষে জনসংখ্যা হবে ১০২০ কোটি। খবর বিডিনিউজের।
এই সংখ্যা ২০১৩ সালের প্রক্ষেপণের চাইতে ৬ শতাংশ বা ৭০ কোটি কম বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এজন্য বেশ কয়েকটি কারণের মধ্যে চীনের মতো দেশে জন্মহার কমাকে দায়ী করছেন জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল লি জুনহুয়া।
তিনি বলেন, জনসংখ্যাগত ধারণা সামপ্রতিক বছরগুলোতে ব্যাপকভাবে বিকশিত হয়েছে। চূড়ায় ওঠার পর তা নেমে যাওয়ার নতুন যে সময় গণনা করা হয়েছে তা আগের হিসাবের চাইতে এগিয়ে আসায় উষ্ণতা মোকাবেলার জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখা যায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হ্রাস হলেও উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণে ব্যক্তির ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের যে প্রয়োজনীয়তা আছে, তা কমবে না। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের জনসংখ্যার এক–চতুর্থাংশেরও বেশি বা ২৮ শতাংশের বাস এখন চীন, রাশিয়া, জাপান, জার্মানিসহ ৬৩টি দেশ বা অঞ্চলে, যেসব জায়গায় জনসংখ্যা ইতোমধ্যেই চূড়ায় উঠেছে। ব্রাজিল, ইরান, তুরস্কসহ আরও প্রায় ৫০টি দেশ আগামী ৩০ বছরে এই তালিকায় নাম লেখাবে।
তবে ২০৫৪ সালের পরেও ১২০টিরও বেশি দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। কোভিড মহামারীর কারণে মানুষের গড় আয়ু বাধাগ্রস্ত হলেও এখন আবার বাড়ছে। বর্তমানে বৈশ্বিক গড় আয়ু দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৩ বছরে। ২০৫৪ সালে তা দাঁড়াবে ৭৭ দশমিক ৪ বছরে।
গবেষণার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০৭০ এর দশকের শেষের দিকে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের মানুষের সংখ্যা ২২০ কোটি হবে। তার মানে তখন অনূর্ধ্ব ১৮ বছর বয়সীদের চাইতে বয়স্কদের সংখ্যা বেশি হবে।