সাবেক মন্ত্রী ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, কেবল নামে নয়, কর্মগুণে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ)। বাংলাদেশে কর্মরত সকল বড় প্রতিষ্ঠানকে এক মঞ্চে এনে নিজেদের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও চট্টগ্রামের সকল চাকরিপ্রত্যাশীকে সুযোগ করে দেওয়া এরই দৃষ্টান্ত। চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী ঘোষণাকালে আমার প্রস্তাবিত ১৭ দফার একটি ছিল এ অঞ্চলে বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। সে অভাব পূরণে সর্বতোভাবে সচেষ্ট ইডিইউ।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত দুদিনব্যাপী প্লেসমেন্ট ডে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্যের বেনগর ইউনিভার্সিটি ও এএইচজেড এসোসিয়েটস লিমিটেডের সহযোগিতায় আয়োজিত এ চাকরিমেলা আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে। প্রায় ৪০টি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চট্টগ্রামে বসবাসরত তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করার লক্ষ্যে এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ইডিইউর শিক্ষার্থীরা ছাড়াও চাকরিপ্রত্যাশী সকলেই এতে অংশ নিতে পারছে।
স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান নাভিদ মাহবুবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসআরএম এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমির আলী হুসেইন বলেন, বর্তমান সময়ে সবকিছুই হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। এতে আমাদের শেখার জন্য সময় কমে গেছে। যে কোনো কিছু শিখতে, অভিজ্ঞতা অর্জনে সময় প্রয়োজন। ফলে তরুণদের আরো ধৈর্যশীল হতে হবে।
জুনকস কনসাল্টিংয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা মতিউল ইসলাম নওশাদ বলেন, আজকের দিনে সবাই প্রযুক্তি ও ক্যারিয়ারের প্রয়োজনীয় তত্ত্বই পড়ছে। পাশাপাশি অবশ্যই আমাদের লিবারেল আর্টস–সোশ্যাল সায়েন্সও পড়তে হবে। বিবিএর পর এমবিএ না করে এসবের উপর মাস্টার্স করা উচিৎ। এতে কর্মদক্ষতার পাশাপাশি মূল্যবোধ–জীবনবোধের বিকাশ ঘটে; মানুষ হিসেবে উন্নত হয়ে ওঠা যায়।
ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বলেন, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে দক্ষ কর্মীর যেমন প্রয়োজন, পাশাপাশি ভালো মানুষ নির্বাচন করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। ইডিইউতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরা দক্ষতার চেয়েও মূল্যবোধসম্পন্ন ভালো মানুষ নির্বাচনকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। কেননা, দক্ষতা উন্নত করা যায়, কিন্তু ভালো মানুষ গড়ে তোলা এর চেয়েও কঠিন।
সভাপতির বক্তব্যে ইডিইউর উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে কাজ করছি আমরা। আজ বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রির বড় বড় কর্তারা এখানে এসেছেন। আপনারা আমাদের জানাবেন শিক্ষার্থীদের কিভাবে গড়ে তুললে বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে কর্মরত প্রতিষ্ঠানগুলো উপকৃত হবে। আমরা সেভাবেই গড়ে তুলবো। ইন্ডাস্ট্রি ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বোঝাপড়া না থাকলে মানবসম্পদ দক্ষ হবে না, বাংলাদেশও প্রকৃত অর্থে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারবে না।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জিপিএইচ ইস্পাতের চিফ পিউপল অফিসার শারমিন সুলতানা, ইডিইউর অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিন, রবি আজিয়াটার চিফ হিউম্যান রিসোর্স অফিসার ফয়সাল ইমতিয়াজ খান, ইডিইউর কনফিডেন্স গ্রুপের ডিরেক্টর এইচআর তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্লেসমেন্ট ডে’তে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিতে সিভি গ্রহণ এবং সরাসরি সাক্ষাৎকার ও লিখিত পরীক্ষা নিচ্ছে। এছাড়া, দর্শনার্থীরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য, সুযোগ–সুবিধা এবং ইন্টার্নশিপের বিষয়েও জানতে পারছে।
