বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের দ্বিতীয় কারণ দৃষ্টিনাশী রোগ গ্লুকোমা

র‌্যালি উদ্বোধনকালে অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন

| বুধবার , ১৫ মার্চ, ২০২৩ at ১০:৪০ পূর্বাহ্ণ

বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ’ উদযাপন করছে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। গতকাল মঙ্গলবার সকালে পাহাড়তলীস্থ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে র‌্যালির উদ্বোধন করেন হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের দ্বিতীয় কারণ মারাত্মক দৃষ্টিনাশী রোগ গ্লুকোমা। বিরাট জনগোষ্ঠী গ্লুুকোমা রোগের নামই শোনেননি। এমনকি শতকরা ৫০ জন লোক জানেন না তার গ্লুকোমা রোগ আছে। বিশেষ করে উপসর্গ থাকে না বলে বেশিরভাগ গ্লুকোমা রোগীই বুঝতে পারেন না এর উপস্থিতি। নীরবে চোখকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যায় বলে গ্লুকোমাকে নীরব ঘাতক বা ‘সাইলেন্ট কিলার’ উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, গ্লুকোমা চোখের এমন একটি জটিল রোগ, ধীরে ধীরে দৃষ্টি কমে যায়। এমনকি এক সময় রোগী অন্ধত্ববরণ করতে বাধ্য হয়। সময়মতো চিকিৎসা করলে অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রোগীর মতো সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং নিয়মিত চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিলে গ্লুকোমা রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

তিনি বলেন, গ্লুুুকোমা রোগ সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি গ্লুুকোমার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরও ভূমিকা পালনের আহবান জানান। র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন ডা. কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী, প্রফেসর ডা. জেসমিন আহমেদ, ডা. রাজিব হোসেন, ডা. ফারজানা আক্তার চৌধুরী, ডা. মেরাজুল ইসলাম, ডা. সুজিত কুমার বিশ্বাস, ডা. সোমা রানী রায়, ডা. তনিমা রায় প্রমুখ। এরপর হাসপাতালের ইমরান সেমিনার হলে চোখের গ্লুকোমা নির্ণয় ও প্রতিরোধের বিষয়ক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাসপাতালের এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. উম্মে সালমা আকবর।

এছাড়া সাপ্তাহব্যাপী কর্মসূচিতে হাসপাতালের চিকিৎসকরা আগত রোগী ও তাদের স্বজনদের গ্লুুকোমা রোগ সম্পর্কে অবগত করবেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে
পরবর্তী নিবন্ধযুবকদের সুপ্ত প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে