চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ হাই– টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চুক্তি সাক্ষর করেন বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ ও চুয়েটের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ্। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, সৈয়দ জহুরুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, অধ্যাপক ড. এ এইচ রাশেদুল হোসেন, অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান ও অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ মোখতার আহমেদ, প্রকৌশলী নরোত্তম পাল, মোহসেনা খানম। সভাপতিত্ব করেন শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।
প্রধান অতিথি বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জি এস এম জাফর উল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বিজনেস ইনকিউবেটর ধারণাটি আমাদের দেশে নতুন। যে কারণে শুরুর দিকে আমাদের একটু বেগ পেতে হয়েছে। চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরটি ভারতের আইআইটি হায়দারাবাদ ও সিলিকন ভ্যালির মডেলে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ইন্ডাস্ট্রির একটা কার্যকর সেতুবন্ধন তৈরি করতে এ ধরনের বিজনেস ইনকিউবেটর একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। আশা করছি, আমরা পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শীঘ্রই বিজনেস ইনকিউবেটরের সফলতা দেখতে পাবো। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে অঙ্গীকার, তা বাস্তবায়নে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মতো অবকাঠামো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। আগামীর তরুণ প্রজন্মের মেধা, বুদ্ধি ও জ্ঞানের বিকাশকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। বিশ্বের স্বনামধন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের বিজনেস ইনকিউবেটর থাকলেও বাংলাদেশে এটাই প্রথম। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আইডিয়াগুলো বাস্তবায়ন এবং একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ–অবকাঠামো সহায়তা দেওয়া হবে। সরকারের ড্রিম প্রজেক্ট হিসেবে বিবেচিত শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা সেতুবন্ধন তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জি এস এম জাফর উল্লাহ শিফট প্রকল্পের আওতায় সাইবার সিকিউরিটি ল্যাব ও স্টুডেন্ট টু স্টার্ট–আপ ভেঞ্চারস কর্তৃক স্থাপিত স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাডের কনটেন্ট ল্যাব উদ্বোধন করেন। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাডের অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপদের জন্য স্টার্টআপ ফাইন্যান্স এর উপর মাস্টারক্লাস স্টার্ট আপ ফাইন্যান্স শীর্ষক প্রশিক্ষণ, সাইবার সিকিউরিটি প্রশিক্ষণ, ইউঝঊঞ প্রকল্পের আওতাধীন অও ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, ঊউএঊ প্রকল্প এর আওতাধীন একাধিক প্রশিক্ষণ সমূহ পরিদর্শন করেন।
একই দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিতকরণ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্যানেলিস্ট ছিলেন বাংলাদেশ হাই–টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ ও শিফট প্রজেক্ট এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর সৈয়দ জহুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানের মডারেটর ছিলেন শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।