চবি গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের উদ্যোগে ‘ওয়ার্কশপ অন রিসার্চ মেথডোলজি’ শীর্ষক দুদিনব্যাপি এক কর্মশালা গতকাল ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমদিনে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। বিশেষ অতিথি উপ–উপাচার্যদ্বয়।
উদ্বোধনী সেশনে সভাপতিত্ব করেন গবেষণা পরিচালনা ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক। প্রথম পর্বে রিসোর্স পার্সন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন। দ্বিতীয় পর্বে রিসোর্স পার্সন হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হোসাইন, ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম এবং কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. ইকবাল আহমেদ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান গবেষণার উর্বর ক্ষেত্র। জ্ঞান সৃজন, বিতরণ, সংরক্ষণ এবং সৃজিত জ্ঞান দেশ–জাতির কলাণে প্রয়োগই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য। উপাচার্য কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে এবং বিশ্ব র্যাংকিংয়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের বিকল্প নেই। যথাযথ গবেষণা পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে গবেষণা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করলেই গবেষণাকর্ম আন্তর্জাতিক স্বীকৃত জার্নালে স্থান পাবে। এ লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষকদের গবেষণায় অধিকতর মনোনিবেশ করতে হবে। তিনি বলেন, স্মার্ট দেশ বিনির্মাণে উন্নত বিশ্বের আদলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পদ্ধতি ইতোমধ্যে ঢেলে সাজিয়েছেন এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করে গবেষকদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শিক্ষক–গবেষকদের ৪র্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় উদ্ভাবনী মেধাকে কাজে লাগিয়ে সময়োপযোগী ফলপ্রসু গবেষণার মাধ্যমে অর্জিত গবেষণালব্ধ জ্ঞান ছড়িয়ে দিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।