প্রতিটি মানুষই সম্ভাবনাময়। তাদের ভেতরে সেই সম্ভাবনার স্ফুলিঙ্গটা জ্বালিয়ে দিতে হয় কেবল, বলেছেন পিএইচপি গ্রুপের চেয়াররম্যান সুফি মিজানুর রহমান। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) আয়োজিত দুদিনব্যাপী ‘ইন্টার ইউনিভার্সিটি ইঞ্জিনিয়ারিং ডে ’ এর অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইডিইউ স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এর উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব নাসিরাবাদস্থ ইডিইউ ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয় প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। আজ শুক্রবার জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজান আরো বলেন, শিক্ষকরাই জাতির মেরুদণ্ড।
একজন শিক্ষকই পারেন শিক্ষার্থীকে বিশ্বের সর্বোচ্চ আসনে উন্নীত হওয়ার পথে এগিয়ে নিতে। প্রত্যেকের মাঝেই অমিত শক্তি দিয়ে রেখেছেন বিধাতা। অভিভাবক, শিক্ষকই পারেন সেই অমিত শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে। তবে, শিক্ষার্থীদের মাঝেও থাকতে হবে ইচ্ছে ও প্রচেষ্টা। উদ্বোধনী বক্তা বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তুলনায় আমরা কোনো দিকেই কম মেধাবী নই। সেরা হতে সম্পদের প্রাচুর্য নয়, প্রয়োজন মেধার বিকাশ। স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ শিল্প বিপ্লবে যাতে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিতে পারে, তার জন্য আমরা শুরু করছি ইডিইউ ফিউচার ফ্যাক্টরি। রোবট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি, স্মার্ট মেশিন, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন ডেটা- এ ধরনের এডভান্স প্রযুক্তিতে সেরা হয়ে ওঠার জন্য চর্চা ও অনুশীলনের প্লাটফর্ম দিচ্ছে ইডিইউ। এতে অংশ নিচ্ছে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪১টি দল। দু’দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতায় হ্যাকাথন, প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, আইডিয়া কনটেস্ট, ম্যাথ অলিম্পিয়াড, ইঞ্জিনিয়ারিং অলিম্পিয়াড, রোবটিঙ কম্পিটিশন, পোস্টার প্রেজেন্টেশন- এই ক্যাটাগরিগুলোতে প্রতিযোগীরা মেধার লড়াইয়ে উপনীত হবে।এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সামস-উদ দোহা, রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।