বিশ্বজুড়ে সংঘবদ্ধ চক্রের ৮ শতাধিক সদস্য গ্রেপ্তার

অ্যাপ হ্যাক করে অভিযান

| বুধবার , ৯ জুন, ২০২১ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

অপরাধীদের ব্যবহার করা একটি অ্যাপ হ্যাক করে লাখ লাখ এনক্রিপ্টেড ম্যাসেজ পড়ে সংঘবদ্ধ অপরাধে জড়িতসন্দেহে ১৮টি দেশের ৮ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ান ও ইউরোপীয় পুলিশ আর যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এক অভিযানে এদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি নগদ ১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং বিপুল পরিমাণ মাদকও জব্দ করা হয়েছে। এফবিআই এ অভিযানের নাম দেয় অপারেশন ট্রোজান শিল্ড। অস্ট্রেলিয়ান পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তারা ২০১৮ সালেই এ অভিযানের পরিকল্পনা করে। খবর বিডিনিউজের। অভিযানটি বিশ্বজুড়ে সংঘবদ্ধ অপরাধীদের ওপর বড় ধরনের আঘাত হয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। অস্ট্রেলিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ইতিহাসে এটি একটি আনন্দঘন মুহূর্ত, সিডনিতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এমনটাই বলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশ কমিশনার রিস কারশ জানান, বিশ্বজুড়ে চলা অভিযানে কেবল তার দেশ থেকেই ২২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এদের মধ্যে বেআইনিঘোষিত মোটরসাইকেল গ্যাং-এর সদস্যরাও আছেন। নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে তারাও ৩৫ জনকে আটক করেছে। ইউরোপের মধ্যে সুইডেন ও জার্মানি থেকে ১৩৫ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নেদারল্যান্ডসে গ্রেপ্তার হয়েছে ৪৯ জন।
বিবিসি জানিয়েছে, অপরাধীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা অ্যাপটি অ্যানম নামে এফবিআই পরিচালিত একটি এনক্রিপ্টেড ডিভাইস কোম্পানি বানিয়েছিল। এফবিআই পরে গোপনে তাদের চরদের মাধ্যমে আন্ডারওয়ার্ল্ডের অপরাধীদের কাছে ওই অ্যাপসহ ডিভাইস সরবরাহ করে।
অ্যাপটি দ্রুতই অপরাধীদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। শতাধিক দেশের ৩০০টিরও বেশি অপরাধী চক্র অ্যাপ সম্বলিত প্রায় ১২ হাজার ডিভাইস ব্যবহার করে। অ্যাপটির ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো মাদক বেচাকেনা, সহিংসতা, খুনসহ সম্ভাব্য নানান অপরাধ ও অপরাধের পরিকল্পনার কথা জানতে পারে। বিশ্বজুড়ে ৯ হাজার পুলিশ এই অভিযানে সম্পৃক্ত ছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআচমকা চড় খেলেন ম্যাক্রোঁ
পরবর্তী নিবন্ধতবুও ঝুঁকি নিয়ে বসবাস