বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে ফেলবে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম

স্পোর্টস ডেস্ক | শুক্রবার , ১৪ জুন, ২০২৪ at ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

ভারতযুক্তরাষ্ট্র ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিউইয়র্ক পর্ব। ম্যাচটি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়ে গেছে নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অবকাঠামো ভেঙে ফেলার কার্যক্রম। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য তড়িঘড়ি করে মাত্র ৫ মাসের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল নিউইয়র্কের অস্থায়ী স্টেডিয়ামটি। বানানোর সময়ই বলা হয়েছিল, বিশ্বকাপের খেলা শেষে গ্যালারি ও অন্যান্য অবকাঠামো ভেঙে ফেলা হবে। আইজেনহাওয়ার পার্কে গড়া ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার আধুনিক স্টেডিয়ামটি ভেঙে ফেলতে সময় লাগবে ৬ সপ্তাহের মতো। এরপর এটি আবার আগের মতো স্থানীয় মানুষের খেলাধুলা কিংবা সময় কাটানোর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে মাঠটি।

গ্যালারি ও অন্যান্য স্থাপনা ভেঙে ফেলা হলেও মাঠের আউটফিল্ড অক্ষত রাখা হবে। তবে বিশ্বকাপের জন্য বিশেষ চাহিদায় বানিয়ে আনা ৪টি ড্রপইন পিচের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে আইসিসির এক কর্মকর্তা বলেছেন, নাসাউ কাউন্টি কর্তৃপক্ষ যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের শর্তে পিচগুলো রেখে দিতে পারবে। অন্যথায় ড্রপইন পিচের চাহিদা আছে, এমন জায়গায় পিচগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় মেজর লিগ ক্রিকেটের কিছু ম্যাচ নিউইয়র্কের এই মাঠে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এই প্রস্তাবনায় তেমন সায় দেয়নি। নিউইয়র্কে ভবিষ্যতে স্থায়ী স্টেডিয়াম হলেও সেটি আইজেনহাওয়ার পার্কে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মাত্র ৮ ম্যাচের জন্য বানানো স্টেডিয়ামটিতে একদমই রানের দেখা মেলেনি। তবে একটি প্রথমে জড়িয়ে গেছে এই মাঠের নাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘স্টপ ক্লক’ নিয়মের আওতায় প্রথম পেনাল্টির ঘটনা ঘটেছে নিউইয়র্কের মাঠেই। ভারতের বিপক্ষে তিনবার এক মিনিটের মধ্যে নতুন ওভার শুরু করতে না পারায় ৫ রান পেনাল্টি গুণতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅশ্বিনকে ছাড়িয়ে আর্শদিপের রেকর্ড
পরবর্তী নিবন্ধনিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার এইটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ