অনেক বড় প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। এবারের বিশ্বকাপে ভাল কিছু করার লক্ষ্য ছিল টাইগার শিবিরে। কিন্তু সেটা আর হয়নি। বরং গত বিশ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হতাশার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবারের বিশ্বকাপে। ব্যর্থতায় মোড়া এই আসরে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ গত শনিবার। আর তার পরদিনই দেশে ফিরে এসেছে দল। গতকাল রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল পৌনে দশটা নাগাদ অবতরণ করেছে বাংলাদেশ দলকে বহনকারী বিমান। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কোচিং স্টাফদের মধ্যে দেশে এসেছেন শুধু প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে। বাকিরা ফিরে গেছেন নিজ নিজ দেশে। এদের মধ্যে চুক্তির মেয়াদ না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া ফাস্ট বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড ফিরে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। ভারতীয় কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাসন চন্দ্রসেকারান থেকে গেছেন নিজ দেশেই। কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যরা পেয়েছেন সংক্ষিপ্ত ছুটি। তাই তারা ফিরে গেছেন পরিবারের কাছে। বিশ্বকাপের গত চার আসরে অন্তত তিনটি করে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ আসরে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে দুটি ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের আসর থেকে ফিরেছিল বৃষ্টিতে পাওয়া ২ পয়েন্ট নিয়ে। তবে এবার ৯ ম্যাচে দুই জয় নিয়ে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি কোনো ক্রিকেটার। এমনকি কোন কর্মকর্তাও সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হননি। সময় নষ্ট না করে দ্রুতই বেশিরভাগ ক্রিকেটার নিজ নিজ ব্যবস্থায় ধরেন বাড়ির পথ। যদিও বিশ্বকাপটা চরম হতাশার মধ্য দিয়ে কেটেছে টাইগারদের জন্য। তারপরও বিশ্বকাপ অভিযানের পর তেমন বিশ্রাম অবশ্য পাচ্ছেন না ক্রিকেটাররা। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ২১ নভেম্বর বাংলাদেশে আসবে নিউজিল্যান্ড দল। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২৮ নভেম্বর শুরু সিরিজের প্রথম টেস্ট ম্যাচটি। পরে ঢাকায় ৬ ডিসেম্বর থেকে হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম সিরিজ। এরপর তিন ওয়ানডে ও তিন টি–টোয়েন্টি খেলতে ফিরতি সফরে নিউজিল্যান্ডে যাবে বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপটা বাংলাদেশ শুরু করেছিল আফগানিস্তানকে হারিয়ে। কিন্তু এরপর থেকে ক্রমেই হারতে থাকে ।
একে একে ছয় ম্যাচে হারের পর শ্রীলংকার বিপক্ষে পেয়েছে দ্বিতীয় জয়টি। আর নেদারল্যান্ডসকে বাগে পেয়েও হারাতে পারেনি। সবশেষ অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ শেষ করে টাইগাররা।