বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয় সময়টা দারুণ কাটছে। এই মার্চের সূচিতেই যেমন লিওনেল মেসি–লাউতারো মার্তিনেসসহ একগাদা খেলোয়াড় চোটে বাইরে থাকার পরও জয়ের ধারা ধরে রেখেছে তারা। গত শনিবার উরুগুয়ের মাঠে ১–০ গোলে জিতে বিশ্বকাপের মূল পর্বে ওঠার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে লিওনেল স্কালোনির দল। অন্যদিকে, কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার–ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া ব্রাজিল গত কোপা আমেরিকায় নকআউট পর্বের প্রথম ধাপেই হেরে যায়। দলটির সেই হতাশাময় পথচলা চলছে এখনও। তবে, গত শুক্রবার কলম্বিয়ার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে জিতে পয়েন্ট টেবিলে একটু উন্নতি করেছে দরিভাল জুনিয়রের দল। ভিন্ন আবহের মধ্যে থাকা দল দুটি এবার মুখোমুখি লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছে। বুয়েনস আইরেসের মনুমেন্তালে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল বুধবার সকাল ৬টায় মাঠে গড়াবে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি। খেলোয়াড়দের নামের বিচারে হয়তো দুই দলের মাঝে কোনো পক্ষকে এগিয়ে রাখা যাবে না। তবে গত কয়েক বছরের মাঠের কার্যকারিতা বিবেচনায় নিলে অবশ্য লিওনেল স্কালোনির দলকে এগিয়ে রাখতে হবে, কিছুটা হলেও। যদিও ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মাথেউস কুইয়া সেটা মানতে নারাজ। রোববার সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নিজের ভাবনা জানান তিনি। ‘তাদের মান যতটা উঁচু, ঠিক ততটাই আমাদের। আমরা জানি যে, মাঠে প্রবেশ করা মাত্রই তাদের সম্মান পাব। (কোনো পক্ষের) এগিয়ে থাকার মতো কিছু মাঠে নামার আগে আমি অনুভব করি না। লড়াই হবে ১১ জনের বিপক্ষে ১১ জনের এবং আমরা জয়ের জন্য সম্ভাব্য সব কিছু করব।’ বাছাইয়ে ১৩ রাউন্ড শেষে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা, দ্বিতীয় স্থানে থাকা একুয়েডরের চেয়ে ৬ পয়েন্ট এগিয়ে। ২১ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে ব্রাজিল। আসছে ম্যাচে হার এড়াতে পারলেই বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে আর্জেন্টিনার। আর ব্রাজিলের আশা পূরণ হলে বড় এক ধাপ এগিয়ে যাবে তারা।