বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়ের অনুভূতি তখনও তরতাজা। স্পেনের উৎসব চলছিল। সেই উদযাপনের মধ্যমণি ওলগা কারমনা। কারণ তার গোলেই যে বিশ্বকাপ জিতেছে স্পেন। শুধু ফাইনালে নয় সেমি–ফাইনালেও গোল করে দলকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন এই স্পেনিশ ফুটবলার। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপ জেতানো কারমনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেই উচ্ছ্বাসের আবহের মাঝেই পেলেন হৃদয় ভাঙার খবর। ম্যাচের আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তার বাবা। তবে তার বাবার মৃত্যুর খবরটি বেশ কৌশলে চেপে রেখেছিলেন তার পরিবার এবং বন্ধু বান্ধবরা। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর স্পেনের ফুটবল ফেডারেশন সামাজিক মাধ্যমে জানায় কারমনার বাবার মৃত্যুর খবর। রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন গভীর দুঃখের সঙ্গে জানায় ওলগা কারমনার বাবার মৃত্যুর খবর। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর খবরটি জানতে পেরেছেন এই ফুটবলার। এই গভীর দুঃখের সময়ে ওলগা ও তার পরিবারকে আমরা আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা তোমাকে ভালোবাসি ওলগা, স্পেনের ফুটবলে তুমি ইতিহাস।
স্পেনের সংবাদমাধ্যম রেলেভো জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের এই ফুল ব্যাকের বাবা মারা যান গত শুক্রবার। ফাইনালের আগে তাকে খবরটি না জানানোর সিদ্ধান্ত নেন তার পরিবার–পরিজনরা মিলে। যাতে তিনি ভেঙে না পড়েন এবং ফাইনালে পুরো মনোযোগ দিতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থতার সঙ্গে লড়ছিলেন কারমনার বাবা। কারমনার খেলা দেখতে তার মা ও ভাইরা এবার নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে। পরে বাবার অবস্থার অবনতি হলে তারা দ্রুত দেশে ফিরে যায়। ফাইনালের আগে শনিবার অবশ্য তারা আবার অস্ট্রেলিয়ায় যায় কারমনাকে সমর্থন জোগাতে। সিডনিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে ২৯তম মিনিটে গোল করেন কারমনা। সেটিই পরে হয়ে যায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক। এর আগে সেমি–ফাইনালের ৮৯তম মিনিটে ২৩ বছর বয়সী এই তারকার গোলেই ম্যাচ জিতেছিল নেয় স্পেন। পরে সামাজিক মাধ্যম এক্স–এ (সাবেক টুইটার) বাবাকে উদ্দেশ্য করে আবেগময় অনুভূতি প্রকাশ করেন কারমনা। তিনি লিখেন আমি জানি, অনন্য এই অর্জনের শক্তি আমাকে দিয়েছো তুমিই। জানি আজকে রাতে তুমি আমাকে দেখছো এবং আমাকে নিয়ে গর্ব করছো। শান্তিতে ঘুমাও বাবা।