বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হয়ে উচ্ছ্বসিত আফ্রিদি

স্পোর্টস ডেস্ক | শনিবার , ২৫ মে, ২০২৪ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের সেরা ক্রিকেটার ও প্রতিযোগিতাটিতে পাকিস্তানের একমাত্র শিরোপা জয়ের নায়ক শহিদ আফ্রিদিকে এবারের বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত করা হয়েছে। বিশেষ এই সম্মান পেয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত সাবেক এই তারকা অলরাউন্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় এবারের টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আফ্রিদিকে দূত করার কথা গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে আইসিসি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে দূত হিসেবে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল, ভারতের তারকা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং ও কিংবদন্তি জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট। ২০০৭ সালে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অল্পের জন্য শিরোপা জিততে পারেনি পাকিস্তান। ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যায় তারা। তবে আসর জুড়ে ব্যক্তিগত উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন আফ্রিদি। লেগ স্পিনে সাত ম্যাচে ১২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৯১ রান করেছিলেন তিনি। পরের আসরেই শিরোপা ঘরে তোলে পাকিস্তান। ২০০৯ সালের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৮ উইকেটে হারানোর পথেও বড় অবদান রাখেন আফ্রিদি। বল হাতে এক উইকেট নেওয়ার পর রান তাড়ায় ৪০ বলে ৫৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালেও উজ্জ্বল ছিলেন আফ্রিদি। ৩৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলার পর বোলিংয়ে ১৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। এই দুই ম্যাচেই সেরার পুরস্কার জিতেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত হয়ে সেই সুখকর মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করলেন আফ্রিদি। “টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন একটি প্রতিযোগিতা, যা আমার হৃদয়ের খুব কাছের। প্রথশ আসরে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া থেকে শুরু করে ২০০৯ সালে ট্রফি উঁচিয়ে ধরা পর্যন্ত আমার ক্যারিয়ারের প্রিয় কিছু ঝলক এই মঞ্চে খেলার মাধ্যমে এসেছে। সামপ্রতিক বছরগুলোতে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিধি ও শক্তি বেড়েছে। এবারের আসরের অংশ হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। যেখানে আমরা আগের চেয়ে আরও বেশি দল, আরও বেশি ম্যাচ এবং আরও নাটকীয় লড়াই দেখতে পাব। আগামী ১ জুন শুরু হবে এবারের টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারই প্রথম ২০ দল নিয়ে হবে এর শিরোপা লড়াই। প্রতিযোগিতারটির অংশ হতে পেরে ভীষণ খুশি আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বলেন, ভারতপাকিস্তানের লড়াই দেখতে মুখিয়ে থাকার কথা। বিশেষ করে, ৯ জুন ভারতপাকিস্তান ম্যাচের সাক্ষী হতে আমি মুখিয়ে আছি। এটি খেলাধুলার বড় দ্বৈরথগুলোর একটি। দুর্দান্ত দুটি দলের অসাধারণ এই লড়াইয়ের জন্য নিউইয়র্ক উপযুক্ত মঞ্চ হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামী ৬ জুন শুরু হবে পাকিস্তানের শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযান। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমুক্তি পেল চার সিনেমা
পরবর্তী নিবন্ধতৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে গোসাইলডাঙ্গা যুবক গোষ্ঠী এবং রাইজিং জুনিয়র জয়ী