বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দেশ ১০টি। ৮টি দল সরাসরি খেলার সুযোগ পেয়েছে। ২টি এসেছে বাছাই পর্ব থেকে। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ২বার বিশ্বজয়ী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানে আইসিসি ওয়ার্ল্ড সুপার লিগে তৃতীয় হয়েই বিশ্বকাপে ঠাঁই করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে প্রথম যোগ্যতা অর্জনের পর থেকে নিয়মিত বিশ্বকাপে খেলে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। সেবার প্রথম স্কটল্যান্ড এবং পরে পাকিস্তানের মত দলকে হারানোর পর বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের স্বপ্ন, একদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলটাও বিশ্বকাপের মঞ্চে বিশ্বজয়ের ট্রফিটা উঁচু করে ধরবে। কিন্তু সেই মাহেন্দ্রক্ষণ কবে আসবে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের, তার অপেক্ষা এখনও চলছে। বিশ্বকাপে ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিলো বাংলাদেশ। ২০০৭ বিশ্বকাপে খেলেছিলো সুপার এইট। ২০১১ বিশ্বকাপে স্বাগতিক হিসেবে তিনটি ম্যাচ জিতলেও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে পারেনি। ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের মাটিতে সাকিব আল হাসান হয়েছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৬০০ এর বেশি রানের সঙ্গে নিয়েছিলেন ১০ টির বেশি উইকেট। একজনমাত্র ক্রিকেটার পুরো টুর্নামেন্টে আলো ছড়িয়েছিলেন। আরও তিন–চারজন এভাবে পারফরম্যান্স করতে পারলে হয়তো বাংলাদেশ সেমিফাইনাল খেললেও খেলতে পারতো সেবার। কিন্তু অন্যদের ব্যর্থতায় সেটা আর সম্ভব হয়নি। বরং ১০ দলের বিশ্বকাপে টাইগারদের ৮ম হয়েই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে। স্বপ্নের বিশ্বকাপ জয়েল পথে এখনো হাটতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তাই বলে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে উচ্ছাস থাকবেনা তাতো হয়না। তাইতো গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ট্রফি কাছে পেয়ে দারুন উচ্ছসিত ছিল বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। বিশ্বকাপের ট্রফি এর আগেও বাংলাদেশে এসেছিলো। ২০১১ বিশ্বকাপে তো সহ–আয়োজকই ছিল বাংলাদেশ।