বিশ্বকাপের জন্য দলকে পুরোপুরি তৈরি মনে করেন অধিনায়ক লিটন

স্পোর্টস ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ at ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ

সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি। বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের হাতে সিরিজ জয়ের ট্রফি, মুখে চওড়া হাসি। ক্যাপশনে লেখা, ‘বাংলাদেশের টিটোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে পঞ্চম ট্রফি। অসাধারণ এই ছেলেদের নেতৃত্ব দিতে পেরে গর্বিত।’ লিটনের আগে পাঁচটি সিরিজ জয়ের স্বাদ পাননি বাংলাদেশের আর কোনো টিটোয়েন্টি অধিনায়ক। ব্যক্তিগত এই অর্জনে মিশে আছে দলের ছুটে চলার প্রতিচ্ছবিও। টিটোয়েন্টি ক্রিকেটে এই বছর নিজের অতীতের সবকিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি জয়, সবচেয়ে বেশি রান, সবচেয়ে বেশি উইকেট, সবচেয়ে বেশি ছক্কা, জয়পরাজয়ের অনুপাতে সেরা সাফল্য, সবকিছুই ধরা দিয়েছে এই ২০২৫ সালে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই শেষ হলো সেই বছর। আগামী ফেব্রুয়ারিতে টিটোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আর কোনো খেলা নেই বাংলাদেশের। আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের দিন লিটন বলেছিলেন, এই সিরিজে দলকে চ্যালেঞ্জে পড়তে এবং তা উতরে যেতে দেখতে চান তিনি। শুরুতে সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলেও শেষটা তাকে স্বস্তি দিয়েছে। বিশ্বকাপের দিকেও এখন আশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন অধিনায়ক। ‘প্রথম ম্যাচে আমরা চাপে পড়েছি, কিন্তু কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তবে পরপর দুটি ম্যাচ জিতে আমরা সিরিজ জিততে পেরেছি। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। বিশেষ করে আমরা এই দলটা এত ভালো ফিল্ডিং করি না কখনও। এবার তিনটি ম্যাচে আমরা অনেক দারুণ সব ক্যাচ নিয়েছি। অন্তত ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে বলতে পারি, অনেক উন্নতি দেখা গেছে।’ ‘দল অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত বিশ্বকাপের জন্য, যখন এশিয়া কাপ খেলেছি, তখন থেকেই। আপনি যদি প্যাটার্নটা দেখেন, এই কয়েকজন ক্রিকেটারই খেলছে। তার মানে, বোঝা যাচ্ছে, দলটা আগে থেকেই প্রস্তুত।’ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে হবে আগামী বিশ্বকাপ। ৭ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্ট শুরুর দিনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। গ্রুপের অন্য তিন প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড, ইতালি ও নেপাল। জাতীয় দলের খেলা না থাকলেও টিটোয়েন্টি ক্রিকেটেই ব্যস্ত থাকবেন ক্রিকেটাররা। আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে বিপিএল। ফ্র্যাঞ্চাইজি এই টুর্নামেন্টেও ক্রিকেটাররা ছন্দ ধরে রাখবেন বলে আশা অধিনায়কের। ‘এখন একটা জিনিস থাকবে যে, ক্রিকেটাররা বিপিএল খেলবে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট। আমার মনে হয়, যে যেখানেই খেলুক, যে কোনো দলেই খেলুক, তারা সেরা ক্রিকেট খেলবে এবং আবার যখন আমরা জাতীয় দলে আসব, তখন ওই সেরা ক্রিকেটই আবার খেলার চেষ্টা করব।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের কাছে ১৩ রানে হারল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম মহানগরী ক্রিকেট কমিটির সভা