সিবিইউএফটির ৩য় ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বিজিএমইএর প্রাক্তন প্রথম সহ–সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (সিবিইউএফটি) গতানুগতিক শিক্ষার বিপরীতে বিশেষায়িত শিক্ষার নির্ভরশীল প্রতিষ্ঠান। সঠিক শৃঙ্খলা বোধ ও সময়ানুবর্তিতা অনুসরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পূর্ণাঙ্গজ্ঞান অর্জন করে টেঙটাইল ও পোশাক শিল্পে নেতৃত্ব দিতে পারে। তিনি অভিবাবকদের উদ্দেশে বলেন, সন্তানদের লেখাপড়ার সার্বিক বিষয়সমূহ মনিটরিং করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। গতানুগতিক শিক্ষার বিপরীতে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি জ্ঞানের প্রসারের মাধ্যমে সমাজে বেকারত্ব দূরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। এই শিক্ষার্থীরাই উদ্যোক্তা হবে, বিভিন্ন বহুজাতিক বায়িং হাউসের সফল নিয়ন্ত্রক হবে –এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সিবিইউএফটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ওবায়দুল করিমের সভাপতিত্বে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, সিবিইউএফটির ট্রেজারার প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্ত্তী, রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মান্নান ও প্রফেসর কাজী নাজমুল হুদা।
উপাচার্য ড. ওবায়দুল করিম বলেন, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের এক বছরের মধ্যেই চট্টগ্রাম বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (সিবিইউএফটি) চট্টগ্রামে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। পোশাক ও টেঙটাইল শিল্পের জন্য অপরিহার্য কারিগরি ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ব্রান্ডেড প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়পূর্বক কারিকুলাম প্রণয়নসহ বিদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথেও সমঝোতা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সিবিইউএফটির ট্রেজারার প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্ত্তী নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, দেশের প্রধান রপ্তানিখাত তৈরি পোশাক শিল্পে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য প্রযুক্তিগত শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিবিইউএফটি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এস এম সাজেদুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, শিক্ষক, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী–অভিবাবকবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
