ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও গুজরাটের রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআইয়ের দৃঢ় আপত্তি সত্ত্বেও দুই দশক আগে গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানুকে ধর্ষণ ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জনকে দ্রুতগতিতে ছেড়ে দিয়েছে বলে এক নথিতে উঠে এসেছে। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে গতকাল এ সংক্রান্ত মামলাটি শোনার কথা। খবর বিডিনিউজের।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, গুজরাট রাজ্য সরকারের আবেদনের দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই দণ্ডপ্রাপ্তদের ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি দেয়। তাদের মুক্তি দিতে গুজরাট ২৮ জুন অনুমতি চায়, এক পৃষ্ঠার ওই আবেদনে ১১ জুলাইয়েই অনুমোদনের স্বাক্ষর পড়ে।
গুজরাটের রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, ওই দণ্ডপ্রাপ্তরা ১৪ বছর জেল খেটেছে, তাদের ব্যবহারও ‘ভালো’ বলে প্রতীয়মান হয়েছে আর কেন্দ্রীয় সরকারও তাদের মুক্তিতে সায় দিয়েছে।
দেশজুড়ে এ নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভের মধ্যেই দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ১১ জন ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্ট জেল থেকে বের হয়ে আসে। কারাগারের সামনে তাদেরকে ‘বীরের মতোই’ ফুল আর মিষ্টি দিয়ে বরণ করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টে এখন এই ১১ দণ্ডপ্রাপ্তের মুক্তি পাওয়াকে চ্যালেঞ্জ করে করা পিটিশনের শুনানি চলছে; সেখানেই সর্বোচ্চ আদালত গুজরাট সরকারকে বিলকিস বানুর মামলা ও কী উপায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা ছাড়া পেল তার সব নথি জমা দিতে বলে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার সময় বিলকিস বানুর বয়স ছিল ২১ বছর, সে সময় তিনি গর্ভবতীও ছিলেন। দাঙ্গাকারীরা সেবার তার পরিবারের ১৪ সদস্যকে হত্যাও করেছিল, এদের মধ্যে বিলকিসের ৩ বছর বয়সী মেয়েও ছিল।