ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলেমেয়ের বয়স কমিয়ে ‘ভয়ংকর উদাহরণ’ তৈরি করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
তিনি বলেছেন, একটি স্বৈরাচার সমাজব্যবস্থার ভেতরে আমরা একটি সংবেদনশীল, যত্নশীল পলিসি প্রত্যাশা করতে পারি না। বিগত সরকার বাল্য বিবাহের মত একটি সংবেদনশীল সামাজিক বিষয়ের সংজ্ঞা পরিবর্তনের মাধ্যমে বিয়ের বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করে ভয়ংকর উদাহরণ তৈরি করেছিল। ফলে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে আমাদের দীর্ঘদিনের অর্জন টেকসই হয়নি।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ উদযাপনের অংশ হিসেবে বিতর্ক সংগঠন ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ বিএফডিসিতে ছায়া সংসদ আয়োজন করে। খবর বিডিনিউজের।
২০১৭ সালে প্রণীত বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ছেলেদের ২১ বছর ও মেয়েদের ১৮ বছর থাকলেও ‘বিশেষ প্রেক্ষাপটে’ আদালতের সায় নিয়ে এর চেয়ে কম বয়সে বিয়ের সুযোগ রাখা হয়। অনুষ্ঠানে এ বিষয়টির সমালোচনা করেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা।
শিশুশ্রমের বিষয়ে তিনি বলেন, যে দেশে আইন করে যৌতুক বন্ধ করা যায়নি, বাল্য বিবাহ বন্ধ করা যায়নি, সে দেশে শুধু আইন দিয়ে শিশুশ্রম বন্ধ করা কঠিন। শিশুশ্রম সম্মানজনক নয়, এটি শিশুর অধিকার হরণ করে। কোনো সমাজে শিশুশ্রম থাকলে সেখানকার অর্থনীতির নৈতিকতা থাকে না। দারিদ্র্য ও শিশুশ্রম ওতপ্রতোভাবে জড়িত। তাই শিশুশ্রম নিরসনে দারিদ্র্য বিমোচনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। শিশুশ্রম নিরসনে রাষ্ট্র ও সমাজকে মুখোমুখি দাঁড় করানো যাবে না। রাষ্ট্র, সমাজ, প্রাইভেট সেক্টর, উন্নয়ন সহযোগীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।