বিয়ের পরদিনই দাম্পত্য কলহ, ঘটককে গাছে বেঁধে মারধর

| শুক্রবার , ২০ জুন, ২০২৫ at ৬:৪২ পূর্বাহ্ণ

বগুড়ার শেরপুরে বিয়ের পরদিনই দাম্পত্য কলহ দেখা দেওয়ায় ঘটককে বাড়ি ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে কনে পক্ষের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে রোববার রাতে শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের সুত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যায়, মজিবর রহমান (৬৫) নামে ওই ঘটককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে।

এদিকে, কনে পক্ষের নির্যাতনে আহত মজিবর শেখ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি বলেন, সূত্রাপুর গোয়ালপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে শাজাহানপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মো. মুন্নার (২৮) বিয়ে হয় গত ৯ জুন। এ বিয়ের ঘটক ছিলেন তিনি। বিয়ের পরদিন থেকেই নবদম্পতির মধ্যে কলহ দেখা দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে কনের পরিবার ক্ষুব্ধ হন। তখন কনের বাবা জহুরুল ইসলাম লুঙ্গি উপহার দেওয়ার কথা বলে মজিবর শেখকে বাড়ি ডেকে নেন। রোববার রাত ৮টার দিকে মজিবর কনের বাড়িতে গেলে কলহের জন্য মেয়ের জামাইকে দায়ী করেন জহুরুল। খারাপ ছেলেকে ভালো বলে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার কারণে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে স্যান্ডেল ও লাঠি দিয়ে মারপিট করা হয় বলে মজিবরের অভিযোগ। খবর বিডিনিউজের।

খবর পেয়ে মজিবরের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৭ জুন তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। কনের বাবা জহুরুল ইসলাম বলেন, ঘটক মজিবর আমাদের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বে প্রতারণা করেছে। ছেলে ও ছেলের পরিবার ভালো বললেও বিয়ের পর মেয়ের ওপর জামাইসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন খারাপ আচরণ করতে থাকে। এ কারণে রাগের মাথায় তাকে শাসন করেছি। মজিবর শেখের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার এসআই তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ঘটক মজিবর শেখ সম্পর্কে মেয়ের বাবা জহুরুল ইসলামের মামা। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তিনি মজিবরের চিকিৎসা খরচ বহন করছেন। তবে অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকেউ যত প্রভাবশালীই হোক রাজস্ব আদায়ে বাধা দিলে কঠোর ব্যবস্থা
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে সাঁড়াশি অভিযান, আওয়ামী লীগের ৬০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার