বিমান হামলায় হামাসের ঊর্ধ্বতন কমান্ডার নিহত

দাবি ইসরায়েলের

| মঙ্গলবার , ১৬ জুলাই, ২০২৪ at ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

গাজার দক্ষিণাঞ্চলে গত শনিবারের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের খান ইউনিস ব্রিগেডের কমান্ডার রাফা সালামা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, রাফা সালামা ছিলেন ইসরায়েলে গত বছর ৭ অক্টোবরে হামাসের সংঘটিত হামলার দুই হোতার একজন। তিনি হামাসের সামরিক শাখার শীর্ষ কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তবে হামাস এখনও তাদের কমান্ডার রাফা সালামা নিহতের খবর নিশ্চিত করে জানায়নি। খবর বিডিনিউজের।

গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, খান ইউনিসে বাস্তুচ্যুতদের জন্য নির্মিত একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ২৮৯ জন আহত হয়। ইসরায়েল বলেছে, হামলাটি হামাসের ঊর্ধ্বতন নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। তবে হামাস বলেছে এই দাবি ‘মিথ্যা’।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এবং ইসরায়েল সিকিউরিটি এজেন্সি (আইএসএ) এক যৌথ বিবৃতিতে রাফা সালামাকে হত্যার খবর জানিয়ে বলেছে, সালামা ১৯৯০ এর দশকের গোঁড়ার দিকে হামাসে যোগ দিয়েছিলেন এবং মোহাম্মদ সিনওয়ারের নেতৃত্বে খান ইউনিস ব্রিগেডের কমান্ডার পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, সালামার মৃত্যু হামাসের সামরিক সক্ষমতা অনেকটাই ব্যাহত করবে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী অপর শীর্ষ কমান্ডার দেইফকে হত্যার লক্ষ্য নিয়েও হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে দেইফ নিহত হয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি।

ইসরায়েল সালামা হত্যার দাবি করার পর হামাসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, ইসরায়েলের হামলা প্রমাণ করে যে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে আগ্রহী নয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, খান ইউনিসের পশ্চিমে আল মাওয়াসি এলাকার মাঝখানে অন্তত পাঁচটি বড় যুদ্ধবিমানকে বোমা হামলা চালাতে দেখেছেন তারা। আহতদের বেশির ভাগকে নিকটবর্তী নাসের হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের মতে, হতাহতের সংখ্যা এত বেশি যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে। হামলা পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছেন ড. মোহাম্মদ আবু রাইয়া। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আহতদের অধিকাংশই একাধিক বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, এ যেন এক নরক। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোবাইলের প্রলোভনে কিশোরকে বলাৎকার, যুবকের যাবজ্জীবন
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৭ জন