চট্টগ্রাম থেকে বিদেশগামীদের ভোগান্তি না কমায় গতকালও প্রবাসীরা সকাল থেকে নগরীর ষোলশহর ২ নম্বর গেটস্থ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ফের বিক্ষোভ করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের ফ্লাইট বাতিল হওয়ার পর তারা কবে ফ্লাইটের সিডিউল পাবেন তা নিশ্চিত করে বিমান কর্তৃপক্ষ বলতে না পারায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরের এ ফ্লাইট যাত্রীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা বিমান কর্তৃপক্ষের এমন আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা বলেন, আমাদেরকে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষের লোকজন বলছেন এখন ঢাকায় চলে যাওয়ার জন্য। ঢাকায় গেলে আমরা যেতে পারবো কিনা এই নিশ্চয়তা তারা দিচ্ছেন না।
এদিকে দিনভর ভোগান্তি শেষে অবশেষে গত শনিবার রাতে বিমান বাংলাদেশের বিশেষ ফ্লাইটে করে সৌদি আরবগামী দুই শতাধিক যাত্রী যাত্রা করেন। মূলত ল্যান্ডিং পারমিশন পেতে দেরি হওয়ায় গত শনিবার ৭টি ফ্লাইটের যাত্রা বাতিল হওয়ার পর শত শত যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীদের যেতে আরো সময় লাগবে।
জানা গেছে, অবতরণের অনুমতি না পাওয়া ও যাত্রী সংকটের কারণে ৭টি বিশেষ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। অথচ গতকাল বিশেষ ফ্লাইট চালুর প্রথম দিনে মোট ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনার কথা জানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে এসব ফ্লাইট চলাচলের কথা ছিল। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ছিল ৫টি।
প্রবাসী যাত্রীদের অভিযোগ, বিদেশে ফিরতে তারা টিকিট কেটে রেখেছিলেন। এর মধ্যে ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে আসছে। লকডাউনের মধ্যে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে গ্রাম থেকে এসেছেন তারা। কিন্তু ফ্লাইট কবে যাবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। বাংলাদেশ বিমানের লোকজন বলছেন ঢাকায় যেতে।