নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন মহাব্যবস্থাপক ও ২৬ কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা কার্যালয়ে গত ২২ এপ্রিল সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুর রহমান। তবে সমপ্রতি বিষয়টি জানা যায়। শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, এখনও সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণের শুনানি হয়নি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হতে পারে। তিনি বলেন, আগের অভিযোগপত্রে যাদের নাম এসেছিল এবারও তারাই রয়েছেন। তবে মামলার ঘটনা ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় না পড়ায় দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৩/৪০৬/৪১১/১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ মামলায় এর আগে ২০২৩ সালের ২২ জুন অভিযোগপত্র দিয়েছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী। পরে বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়। খবর বিডিনিউজের। এরপর ওই বছরের ৭ অগাস্ট ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত অভিযোগপত্র গ্রহণ না করে স্বপ্রণোদিত হয়ে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আগের অভিযোগপত্রেও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন–নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি কমিটির অন্যতম সদস্য ও বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিস ইকুইপমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এবং নিরাপত্তা বিভাগের উপ–মহাব্যবস্থাপক তাইজ ইবনে আনোয়ার, বিমানের এমটি অপারেটর জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মো. মাহবুব আলী, এনামুল হক, মাহফুজুল আলম, এমএলএসএস মো. জাহিদ হাসান, হারুন অর রশিদ, সমাজু ওরফে সোবাহান, জাকির হোসেন, অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন ও হেলপার জাবেদ হোসেন।
২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বিকাল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠলে শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। সে সময় বিমানের পাঁচকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলেছিল, প্রশ্নপত্র বিক্রির বিনিময়ে দুই থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে। ওই ঘটনায় বিমানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘জড়িত’ থাকারও তথ্য মিলেছে জিজ্ঞাসাবাদে।