বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে চট্টগ্রাম ওয়াসার বকেয়া দিনদিন বাড়ছে

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ at ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ

সরকারিবেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে দিনদিন বাড়ছে চট্টগ্রাম ওয়সার বকেয়ার পরিমাণ। অনেক প্রতিষ্ঠান বছরের পর বছর নিয়মিত বিল পরিশোধ করছে না। বিল পরিশোধে চিঠি দেয়ার পরও সেই চিঠির উত্তর আসে না বলে অভিযোগ চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব ও বাণিজ্যিক বিভাগের।

চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, বর্তমানে সরকারিবেসরকারি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের কাছে চট্টগ্রাম ওয়াসার ২০০ কোটি টাকার মত বকেয়া পাওনা রয়েছে। দিনদিন বকেয়ার পরিমাণ বাড়ছে।

এদিকে চট্টগ্রাম ওয়াসার সিস্টেম লস ২৫ শতাংশে ঘুরপাক খাচ্ছে দীর্ঘদিন থেকে। ২৫ শতাংশের নিচে নামছে না সিস্টেম লস। তবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় এই সিস্টেম লস ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হবে বলে জানান চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রুমন দে। তিনি জানান, এক সময় সিস্টেম লস ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছিল। এখন ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় এ সিস্টেম লস ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হবে। সিস্টেম লসের ব্যাপারে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রুমন দে বলেন, লিকেজ হয়ে পানি নষ্ট হয়ে যাওয়া, মিটার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় গড় বিল হয়। মিটার নষ্ট হলে গ্রাহক বিষয়টি ওয়াসাকে জানান না, ঝামেলা মনে করে। অনেক সময় মিটার চুরি হয়ে যায়। এসব কারণে সিস্টেম লস কমছে না।

তিনি বলেন, বস্তি এলাকায় আগে কিছু অবৈধ সংযোগ থাকলেও এখন সেগুলো বৈধ করা হচ্ছে। পাহাড়ে আমাদের কোনো অবৈধ সংযোগ নেই। কাঁঠাল বাগানসহ কিছু কিছু পাহাড়ে লাইসেন্স বিহীন গভীর নলকূপ বসিয়ে পানির সংযোগ দেয়া হয়েছিল। সেগুলো আমরা বিচ্ছিন্ন করেছি। ওয়াসার রাজস্ব আয় এবং বকেয়া প্রসঙ্গে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্টানের কাছে ওয়াসার বকেয়ার পরিমান ধীরে ধীরে বাড়ছে। বর্তমানে ২০০ কোটি টাকার মত বকেয়া রয়েছে। প্রতিমাসে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের কাছে পানির বিল হয়ে থাকে ২১ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৯০ শতাংশ আদায় হয়; প্রতিমাসে ১৯ থেকে ২০ কোটি টাকার মত রাজস্ব আদায় হয়। বছরে ২৪০ কোটি টাকার মত।

জানা গেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রতি মাসে ওয়াসার পানির বিল পরিশোধের বরাদ্দ থাকে না। তারা প্রতি জুনে বিল পরিশোধ করে থাকে। বছরের পর বছর বকেয়া আদায়ে বরাবরাই হিমশিম খায় চট্টগ্রাম ওয়াসা।

ওয়াসার প্রকৌশলী ও রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১০ বছর ধরেই ৩০ শতাংশ হারে সিস্টেম লস হচ্ছে। সিস্টেম লসের বড় কারণ অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে পানি চুরি, অবৈধ সংযোগ এবং কিছু মিটার পরিদর্শকের কারসাজি। প্রকৃত সিস্টেম লস ১০ শতাংশের বেশি নয়, যা হয় পুরোনো লাইন ও ছিদ্রের কারণে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচাকসু নির্বাচনে লড়ছেন ৪৮ নারী প্রার্থী
পরবর্তী নিবন্ধবিপ্লব উদ্যান থেকে ময়লা পরিষ্কার করলেন মেয়র