বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাত আটটার পর অতিরিক্ত আলোকসজ্জাসহ দোকানপাট খোলা রাখার দায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মামলা দিয়ে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরজুড়ে এসব অভিযান পরিচালনা করেন। এরা হলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, রাজীব হোসেন ও আতিকুর রহমান।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নগরীর বায়েজিদ ও উত্তর কাট্টলী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক, চকবাজার এলাকায় রাজীব হোসেন ও কাজির দেউড়ি এলাকায় আতিকুর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বায়েজিদ ও উত্তর কাট্টলী এলাকার স্পাইস ভিলাকে ২ হাজার টাকা, সরিষা বাড়িকে ২ হাজার টাকা, কুক আউটকে ৫ হাজার টাকা, আবুল কালাম নামের একজনের প্রতিষ্ঠানকে ১ হাজার টাকা, সামিয়া ইলেকট্রনিক্সকে ২ হাজার টাকা, জামান হোটেলকে ২ হাজার টাকা, জেএসি রিফুয়েলিং স্টেশনকে ১০ হাজার টাকাসহ মোট ৭ টি মামলায় ২৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব হোসেন চকবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওয়ালটন শো রুমসহ আটটি দোকানকে বিভিন্ন অঙ্কের মোট চৌদ্দ হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা করেন। এ সময় অহেতুক আলো না জ্বালিয়ে বিদ্যুতের অপচয় রোধকল্পে সরকারি নির্দেশনা মানার জন্য সবাইকে সচেতন হতে বলেন তিনি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান কাজির দেউড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬টি মামলায় ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযান বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক আজাদীকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ও জেলা প্রশাসকের নির্দেশে অভিযানটি পরিচালিত হয়। এতে আটটার পর অতিরিক্ত আলোকসজ্জাসহ দোকানপাট খোলার অপরাধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে।












