বিভিন্ন গোষ্ঠী নির্বাচনকে বিলম্বিত করার পাঁয়তারা করছে

মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাবেশে বক্তারা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৬ জুলাই, ২০২৫ at ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বিভিন্ন গোষ্ঠী নির্বাচনকে বিলম্বিত করার পাঁয়তারা করছে। মূলত যাদের জনসমর্থন নেই এবং যাদের যোগ্য নেতৃত্বের অভাব রয়েছে তারাই সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচনের কথা বলছে। দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি বুঝে না, তারা ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চায়। যারা জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করবে।

গতকাল শনিবার বিকেলে স্বেচ্ছাসেবক দল চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলোত্তর সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা। স্বেচ্ছাসেবক দল চট্টগ্রাম মহানগর ও এর আওতাধীন ১৫ থানা ও ১২টি ওয়ার্ড কমিটি অনুমোদন দেয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিসাধারণ সম্পাদকসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে এ আনন্দ মিছিল করা হয়। নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দান থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় মিছিলটি।

সমাবেশে সভাপতির নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, অতীতে যারা আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সাথে রাজপথে ছিলেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে যারা হামলামামলার শিকার হয়েছেন, কারাবরণ করেছেন এমন ত্যাগী ও যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল চট্টগ্রাম মহানগর, ১৫ থানা ও ১২টি আহ্বায়ক কমিটি উপহার দিয়েছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিয়েছে। গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা বিএনপির ভ্যানগার্ডের দায়িত্ব পালন করেছেন। আগামী দিনেও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাঙ্ক্ষিত সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গঠনে স্বেচ্ছাসেবক দল অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জমির উদ্দিন নাহিদ বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের পর আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে স্বেচ্ছাসেবক দল সম্মুখভাগে লড়াই করেছে। দেশের জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্য পূরণে স্বেচ্ছাসেবক দল সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল হক টুটুল, এম আবু বক্কর রাজু, রাজীব উদ্দিন আকন্দ, মহসিন কবির আপেল, রিফাত হোসেন শাকিল, দিদার হোসেন, হারুনুর রশিদ, গোলাম সরোয়ার, আব্দুল হালিম গুড্ডু, মো. আলমগীর, আব্দুল আহাদ রিপন, কামরুল হাসান, এন মোহাম্মদ রিমন, আরিফুর রহমান চৌধুরী, মো. ইফতেখার উদ্দিন নিবলু, তাজুল ইসলাম নয়ন।

উপস্থিত ছিলেন সদস্য আব্দুল হাই, সৈয়দ মফিজ উদ্দিন সুমন, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, মো. হাসান, ইমরান হোসেন চৌধুরী বাবলু, ইঞ্জিনিয়ার নুরুজ্জামান শিমুল, সাইফুল আলম দিপু, রবিউল ইসলাম, শহিদুজ্জামান শহীদ, মো. জাহিদুল ইসলাম (দপ্তরের দায়িত্বে), নোমান সিকদার সোহাগ, আকবর হোসেন মানিক, কামাল হোসেন, ইমরান সিদ্দিকী জ্যাকসন, জাকির হোসেন মিশু, জাফর হোসেন রনি, দেলোয়ার হোসেন জনি, মীর কাসেম, ইকবাল হোসেন জিসান, ইমরান হোসেন তালুকদার, মো. মারুফ, মো. পারভেজ, মো. বাকের, রাশেদ পাটোয়ারি, মো. রাজীবসহ থানা ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবোয়ালখালীতে গাছের চারা বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধইয়াজিদি আদর্শের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের পতাকা উড্ডীন রেখেছিলেন ইমাম হোসাইন (রা.)